নাগাল্যান্ডে গুলি চালানোর ঘটনায় শোকপ্রকাশ মমতার
‘নাগাল্যান্ডের ঘটনা উদ্বেগজনক’, টুইটে উৎকন্ঠা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। যার প্রভাব পড়েছে নাগাল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী হর্নবিল উৎসবেও। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো Mamata Banerjee। টুইটে তিনি লেখেন, ‘স্বজনহারা পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ঘটনার সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করা হোক। নিহতেরা যেন ন্যায় পায়। তা নিশ্চিত করা হোক।’
জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ভেবে ভুল করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন সাধারণ মানুষের। ঘটনাটি ঘটেছে, Mon জেলার Oting গ্রামে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। সেনাকে পালটা আক্রমণ করে উন্মত্ত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জওয়ানদের দুটি গাড়িতে। সংঘর্ষে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত আরও কয়েকজন সেনা জওয়ান। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। পুরো নাগাল্যান্ডবাসীর কাছেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী Neiphiu Rio-এর। ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। অশান্তি ছড়ানো আটকাতে মন জেলায় ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ প্রশাসনের।
এই ঘটনার প্রভাবে Hornbill Festival Boycott-এর ডাক তুলেছেন নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে Konyak উপজাতি সহ মোট ৬টি উপজাতি হর্নবিল উৎসবে আর অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। এই উৎসবে অংশ নেবেনাSangtam, Konyak, Yimkhiung, Khiamniungam, Phom এবং Chang জাতির লোকজন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পরে রটে যায় যে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে হর্নবিল উৎসব। তবে, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা Abu Metha টুইট করে জানিয়েছেন, কিসামায় ওই অনুষ্ঠানে মৃতদের আত্মার প্রতি সম্মান জানাতে দুমিনিট নীরবতা পালন করা হবে। অন্যদিকে, মন জেলায় অনির্দিষ্টকালে জন্য Internet এবং SMS পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে নাগাল্যান্ডের প্রশাসন।
ঘটনায় উদ্বেগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। টুইট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করেছেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘নাগাল্যান্ডের ওটিংয়ের ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। মনের প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। রাজ্য সরকারের তৈরি SIT উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত সত্যিটা সামনে নিয়ে আসবে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলি ন্যায় পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’