আগামী কয়েক মাসে জিনিসের দাম আরও বাড়বে: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বরং আগামী কয়েকমাসে আরও বাড়তে চলেছে জিনিসপত্রের দাম। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্তে দাসের গলাতেই সেই আশঙ্কার আভাস স্পষ্ট। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর বুধবার তিনি বলেছেন, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রয় করার প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা একটাই। মূল্যবৃদ্ধি। পেট্রল-ডিজেল ও ভোজ্য তেলের দাম এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ তথা কোর সেক্টরের মূল্য, সবই ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণেই মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে না। মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমার কোনও লক্ষণ না থাকায় এবারও পরিবর্তন হল না রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেটের। তবে ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বেশি করে অর্থ জোগানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতি নির্ধারণ কমিটি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেছেন, যদিও শীতের ফসল বাজারে এসে গিয়েছে। রবিশস্যের ফলনও যথেষ্ট ভালো। কিন্তু এসব সত্ত্বেও একঝাঁক ফ্যাক্টরের কারণে মূল্যবৃদ্ধি কমছে না। দ্রুত কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়সীমায় আরও বেশি হবে মূল্যবৃদ্ধি। তবে ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে কমতে পারে। এই আশা করলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৫ শতাংশের নীচে নেমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই মুদ্রাস্ফীতির হার। বরং আগামী ত্রৈমাসিকে তা হবে ৫.৭ শতাংশ। আর আর্থিক বছরের শেষে সামগ্রিকভাবে হবে ৫.৩ শতাংশ। যদিও এটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস। ঠিক যেমন জিডিপি বৃদ্ধি হার নিয়েও গভর্নর শক্তিকান্ত মনে করেন, আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি হার হবে ৭.৮ শতাংশ। আর সেটাই হতে চলেছে জিডিপির হারের স্থিতিশীল হওয়া। ২০২১-২২ সালের জিডিপি বৃদ্ধিহার হবে ৯.৫ শতাংশ।