হাওড়াকে বাদ রেখে কেন পুরভোট ঘোষণা? জানতে চাইল হাইকোর্ট
রাজ্যের সব মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে একসঙ্গে ভোট করার কথা বলেও কেন হাওড়াকে বাদ রাখা হল? জবাব পেতে দায়ের হওয়া মামলায় হলফনামা মারফত সব পক্ষের বক্তব্য পেশ করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শম্পা সরকার ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ৬ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
হলফনামায় জানাতে হবে, ২৮ ডিসেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশন কর্পোরেশনগুলির ভোট সম্পর্কিত যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, তাতে হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশনকে কেন বাদ রাখা হল, তার কারণ দর্শাতে হবে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য নগরোন্নয়ন দপ্তরের দেওয়া প্রস্তাব কেন কমিশন গ্রহণ করেনি, তারও কারণ দর্শাতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর রাজ্যের বকেয়া পুরভোট সম্পর্কে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার জেরে হাওড়াকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত আদালত বিরুদ্ধ কি না, তা যুক্তি-সহ জানাতে হবে। কমিশনের এহেন সিদ্ধান্ত স্রেফ চোখে ধুলো দেওয়ার প্রয়াস কি না, তার জেরে মামলাকারীর দাবিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা হয়েছে কি না, এই অভিযোগের ব্যাখ্যাও চেয়েছে বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী শিলিগুড়ি, চন্দননগর বিধাননগর ও আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে ভোট হতে চলেছে। মামলাকারী মৌসুমি রায়ের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করেন, ২৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে যে নির্দেশ ও অভিমত দেওয়া হয়েছিল, তা কমিশন বা রাজ্য সরকার কার্যত মানেনি। এমনকী তারা যে প্রতিশ্রুতি আদালতকে দিয়েছিল, তা অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই হাওড়াকে ওই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়েছে। বিপুল আর্থিক নয়ছয় ও বেআইনি কার্যকলাপের কারণেই ২০১৮ থেকে বকেয়া হলেও, হাওড়া কর্পোরেশনে ভোট না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও সরকার পক্ষ দাবি করে যে, এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।