কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

প্রয়াত শাঁওলি মিত্র, শোকস্তব্ধ বাংলা নাট্য জগৎ

January 16, 2022 | < 1 min read

সবার চোখের আড়ালে চিরবিদায় নিলেন নাট্য দুনিয়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী শাওলি মিত্র। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি নিজেও মঞ্চদুনিয়ার দিকপাল ব্যক্তিত্ব। খবর, রবিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শম্ভু-তৃপ্তি মিত্রের কন্যা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিন দুপুরে সিরিটি মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছাপত্রে ‘নাথবতী অনাথবৎ’ কন্যা জানিয়ে গিয়েছিলেন, দাহকার্যের পর তাঁর মৃত্যুর খবর যেন জানানো হয় সবাইকে। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ। বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই মৃত্যুর পরবর্তী নিয়ম বিধি প্রকাশ করে গেলেন তিনি। ফুলের ভারে তাঁর দেহ যেন সেজে না ওঠে এমনই নির্দেশ ছিল তাঁর।

প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শেষ ইচ্ছাপত্রে তাঁর মানস-পুত্র এবং কন্যা সায়ক চক্রবর্তী এবং অর্পিতা ঘোষের উপরেই তাঁর দাহকার্যের ভার দিয়ে গিয়েছিলেন। মহা-সমারোহ বা পুষ্পস্তবকে তাঁর দেহ সাজিয়ে তোলার বিরুদ্ধে ছিলেন শাঁওলি। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতোই সাদামাঠা ভাবে, সবার অগোচরে চলে যেতে চান তিনি।

প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাঁওলিকে। অভিনয় করেছেন ‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে। অভিনয় সুবাদেই তিনি ২০০৯-এ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত। এ ছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি (২০০৩) এবং বঙ্গ-বিভূষণ (২০১২) সম্মানে। ২০১১-য় রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Death, #Theatre, #Shaoli Mitra

আরো দেখুন