বাংলা সঙ্গীত মহলে শোকের ছায়া, প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী গোরা সর্বাধিকারী
সঙ্গীতশিল্পী গোরা সর্বাধিকারী প্রয়াত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বেশ কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে শান্তিনিকেতনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান শিখতে জার্মানি যাওয়ার মোহ ছেড়ে এক দিন শান্তিনিকেতন চলে এসেছিলেন গোরা। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যাডমিশন টেস্ট হচ্ছে শুনে ইন্টারভিউ দিয়ে দেন। সঙ্গীতভবনে শান্তিদেব ঘোষের অধীনে ভর্তি হন। অনেক পরে সলিল চৌধুরীর করা মিউজিকেই প্রথম রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করেন গোরা। সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানে মিউজিক করলেন সলিল চৌধুরীও! প্রথম গানটি ছিল মিশ্র কাফি রাগে ‘হাসি কেন নাই ও নয়নে।’
গোরা নিজে সতেরো-আঠারো বছর বিশ্বভারতীর মিউজিক বোর্ডে ছিলেন। তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি সেখানকার অধ্যক্ষও ছিলেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে কোনও রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, একটা সময় গোরাই ছিলেন মোহর ও তাঁর পরিবারের বিশ্বস্ত সঙ্গী। মোহরের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় বন্ধুতা। ‘মোহরদি’র স্মৃতিকে সন্তর্পণে সখ্য করে শান্তিনিকেতনে শিল্পীর ‘আনন্দধারা’ বাড়িতেই নিভৃত প্রহর কেটেছে গোরার।
গোরার প্রয়াণে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের মধ্যে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।