বকেয়া কর আদায়ে কঠোর নীতি গ্রহণ কলকাতা পুরসভার
কলকাতা পুরসভার অনাদায়ী সম্পত্তিকরের পরিমাণ এই মুহূর্তে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। কোষাগারের অবস্থাও সঙ্গিন। ইতিমধ্যেই সম্পত্তিকর আদায়ের প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করতে অনলাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার পুরসভার কর-রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করলেন ফিরহাদ হাকিম।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‘বড় বড় অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সম্পত্তিকর দিচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হবে। নোটিস দেওয়ার পরেও কাজ না হলে আইনি পথে যাব।’’ তবে অধিকাংশ সাধারণ মধ্যবিত্ত করের টাকা সময়ে মেটানোয় তাঁদের ধন্যবাদ জানান মেয়র।
বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ে আধিকারিকদের এ দিন কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। কলকাতার সমস্ত জমিই মূল্যায়নের আওতায় আনতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘শহরের সব জমিরই মূল্যায়ন করা হবে। কোনও জমি মূল্যায়নের বাইরে থাকলে তা পুরসভা অধিগ্রহণ করবে। পরে মালিক উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করলে জমি ফেরত পাবেন। অনলাইন মূল্যায়নে জোর দেওয়া হবে।’’ মেয়র জানান, নতুন ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সিসি ছাড়াও ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন’-এর মাধ্যমে সেটির মূূল্যায়ন ও মিউটেশন করানো যাবে।
সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতে অনলাইনে কর জমা নেওয়ায় গুরুত্ব দিচ্ছে পুরসভা। এর জন্যই চালু হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। পুরসভার ওয়েবসাইটেও অনলাইনে কর জমা দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা চালু থাকছে।