রেডরোডে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে পালন ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবস
আজ ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবস। এবারও রেড রোডে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। করোনার কারণে এবারও অনুষ্ঠান হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। আমন্ত্রিতের তালিকায় মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও রাখা হয়নি। কয়েকটি দূতাবাসের প্রতিনিধি ছিলেন অনুষ্ঠানে। রেড রোডের ওই অনুষ্ঠানে সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না।
এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনিই গার্ড অফ অনার নেন। মুখ্যমন্ত্রী পুলিস মেমোরিয়ালে মালা দেন। অনুষ্ঠান শেষেই রাজ্যপাল রেড রোড ছেড়ে চলে যান। পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাজ্যের যে নেতাজি-ট্যাবলো দিল্লির কুচকাওয়াজে বাতিল হওয়া নিয়ে এত বিতর্ক, তা এদিন স্থান পায় রেড রোডের অনুষ্ঠানে। ওই ট্যাবলোতে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র এবং বাংলার মনীষীদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ট্যাবলো বাতিল নিয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর অভিযোগ, ওই ট্যাবলো বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকাকে অস্বীকার করতে চেয়েছে। কেন্দ্রের এই আচরণ কখনওই ক্ষমা করা যায় না। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ায় সিপিএম এবং কংগ্রেসও।
মমতার ক্ষোভ সামাল দিতে মাঠে নামেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি মমতাকে চিঠি লিখে জানান, ট্যাবলো বাতিল করার পিছনে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই।
আরও অনেক রাজ্যের ট্যাবলোও বাতিল হয়েছে। ট্যবলো নির্বাচন করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই বিতর্কের পরই রাজ্য সরকার রেড রোডে নেতাজি-ট্যাবলো প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিন কুচকাওয়াজ ঘিরে রেড রোডে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। ১১ টি জোনে ভাগ করে গোটা তল্লাটে নজরদারি চালানো হয়।