রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বেসরকারি স্কুলেও এবার শুরু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এর ধাঁচে ক্লাস

February 3, 2022 | 2 min read

সব মিলিয়ে ৩০ লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি পড়ুয়াকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ। এই অবস্থায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে খুলছে স্কুল। আসবে অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের মতে, টিকাপ্রাপ্ত স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা আসলে ৪০ লক্ষের কাছাকাছি। তবে, এঁদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হওয়ায় রেকর্ডে তাঁদের স্কুলপড়ুয়া ধরা হচ্ছে না। তবে, সব মিলিয়ে স্কুলগুলি সতর্কতা মেনে পড়ুয়া আনতে তৈরি। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এর ধাঁচে মাঠে ক্লাস করানোর প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে। সেসব স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে তা বাড়তি আনন্দ।

রামমোহন মিশন স্কুল তাদের নিজস্ব মাঠেই ক্লাস করাবে। তাতে প্রথম শ্রেণি থেকেই ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন বাদে তাদের তো নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। এই স্কুলের ছাত্র কোয়েল চট্টোপাধ্যায়, অনীক চক্রবর্তীরাও বেশ আনন্দিত। তারা একই সুরে জানায়, স্কুলে যেতে খুবই ভালোবাসি। তাই এক্সাইটেড তো বটেই। খোলা আকাশের নীচে ক্লাস হলে তো কথাই নেই। এতে নিও-নর্মালের নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। অফলাইন পরীক্ষার জন্য স্কুল তাদের যথেষ্ট সময় দেবে বলেও তারা মনে করছে। ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল রীতিমতো একটি মাঠই নিয়ে ফেলেছে ক্লাস করানোর জন্য। অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ একটি অভিনব উদ্যোগ। আমাদের পড়ুয়ারাই বা সেই আনন্দ থেকে বাদ থাকে কেন? পড়াশোনা পরে, আগে ক্লাস করার আনন্দটা দিতে চাই। সামনের সপ্তাহ থেকেই তা চালু করব। খড়্গপুরের গ্রিফিন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলও বাগান এবং অ্যাম্ফি থিয়েটারে বেশ কিছু ক্লাস করাতে চলেছে। আরও কিছু স্কুল অচিরে সেই পথে হাঁটবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এসবে আপত্তির কিছু দেখছেন না। এখনই চাপ দিয়ে পড়ানোর বিপক্ষে অধিকাংশ স্কুল প্রধানই। বেলেঘাটার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, কিছুদিন ইউনিফর্ম ছাড়াই আসুক। করোনা বিধি মেনে সরস্বতী পুজোয় আনন্দ করুক। পড়াশোনার রুটিনে পরে ঢোকা যাবে। আগে মানিয়ে নিক ওরা। সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, সবরকম কোভিড সতর্কতাই নেওয়া থাকবে। তা সত্ত্বেও সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই ছাত্রীদের বলেছি, তারা যেন অভিভাবকদের একটি সম্মতিপত্র নিয়ে আসে। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে স্কুল বাস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #private schools, #School Reopen

আরো দেখুন