রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রশাসনিক কাজকে সচল রাখতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে নজির গড়ছে বাংলা

February 10, 2022 | 2 min read

কোভিড পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক কাজকে সচল রাখতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নজির গড়েছে বাংলা। তা ব্যবহার করে স্বচ্ছভাবে রাজ্যে সেরে ফেলা হয়েছে নানান ক্ষেত্রের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার বাংলার সেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে মোদি সরকারের অধীন একটি সংস্থা।‌‌


রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বাংলায় ব্যবহার করা হয়েছিল ‘অনলাইন রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’।‌ এর মাধ্যমে একেবারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছভাবে সেরে ফেলা গিয়েছিল সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি। চাকরি প্রার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে ফলাফল বের করা পর্যন্ত। সব কাজই হয়েছিল এই তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অন্তর্গত ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড স্টাডিজ তাদের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই কেন্দ্রটির সদর দপ্তর কেরালার আক্কুলামে।

রাজ্য সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাতেই প্রথম তৈরি এবং ব্যবহার হয় ‘অনলাইন রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। রাজ্যের সাহায্যে এটা তৈরি করে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের (এনআইসি) কলকাতা ইউনিট। তবে এই প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি হবে তার কাঠামো তৈরির কাজে সম্পূর্ণভাবে দিকনির্দেশ করেছিল রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তর। ঠিক একইরকম প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা এনআইসি-র কেরল ইউনিটকে সম্প্রতি জানায় ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড স্টাডিজ। বিভিন্ন রাজ্যের ব্যবহৃত এই ধরনের প্রযুক্তি খতিয়ে দেখে বেছে নেওয়া হয় বাংলার ‘অনলাইন রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-কে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের অধীন সংস্থাটির এই প্রযুক্তি ব্যবহারের করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে তিনটি বৈঠক হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সও হয়েছে এই বিষয়ে। প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এর বাস্তবায়ন করার রূপরেখা তৈরি নিয়ে আরও একটি বৈঠক হবে।

রাজ্যের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানান, কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের যে পরীক্ষায় প্রথমবার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে প্রায় ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষাটি নেওয়া হয়েছিল মূলত স্টেট প্রোজেক্ট ম্যানেজার ও ব্লক স্তরে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য। প্রসঙ্গত, রাজ্যে চালু হওয়া ই-আবগারি প্রযুক্তিও ইতিমধ্যে চালু হয়েছে পাঞ্জাব, ওড়িশা, সিকিম, অরুণাচল ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছে লাদাখও। তামিলনাড়ু, কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও ই-আবগারি ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #technology, #Information technology, #Adminstration

আরো দেখুন