দেশ বিভাগে ফিরে যান

৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ‘ডবল ইঞ্জিন’ চণ্ডীগড়, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

February 23, 2022 | < 1 min read

বিদ্যুৎ নেই (without electricity)। ভরসা মোমবাতি। সেটা জ্বেলেই দিন কাটছে। বিদ্যুতের অভাবে জ্বলছে না রাস্তার সিগন্যাল। ফলে, যানজট গোটা শহর জুড়ে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নেই জলও ( without Water)। থমকে গিয়েছে দৈনন্দিন জীবন। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ রয়েছে অনলাইন ক্লাসও। একদিন, দু’দিন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের ধর্মঘটের জেরে এক টানা তিন দিন ধরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে চণ্ডীগড় শহরের (Blackout In Chandigarh) একাংশ। শহর জুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

একটানা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অফিস-আদালত। বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে ব্যহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাও। সরকারি হাসপাতালগুলি অনেক অস্ত্রোপচার বন্ধ রেখেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও হাসপাতালের ১০০ শতাংশ লোড জেনারেটরের পক্ষে রাখা সম্ভব নয়।

রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ২ ঘণ্টা দূরত্বে চণ্ডীগড়। কিন্তু সেখানে আচমকাই কেন ৩৬ ঘণ্টার ব্ল্যাক আউট ? চণ্ডীগড় বিদ্যুৎ পরিষেবা কর্মীদের লাগাতার ধর্মঘট ডেকেছে । চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যের পরামর্শদাতা ধরম পাল বিদ্যুৎ দফতরের ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলেন, কিন্তু কোনও সুফল মেলেনি। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ পরিষদকে বেসরকারিকরণ করার উদ্যোগ চলছে। তাদের দাবি, বেসরকারিকরণ কর্মীদের কাজের শর্তাবলী পরিবর্তন করবে এবং বিদ্যুতের শুল্কও বাড়িয়ে দেবে। এই বেসরকারিকরণ রুখতেই লাগাতার বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকরা ।

চণ্ডীগড় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফের শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। যে কারণে একাধিক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হওয়ার ফলে রাজ্যের উৎপাদন ও শিল্প ক্ষেত্রগুলিতেও প্রভাব পড়েছে । এই বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত পদেক্ষেপ নিচ্ছে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chandigarh, #Blackout

আরো দেখুন