রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের অভিমুখ কি ইউক্রেনের দিকে? উঠছে প্রশ্ন সারাবিশ্বে
জল এবং স্থল থেকে ছোড়া পরমাণু অস্ত্র আঘাত হানছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে। পরমাণু অস্ত্রের মহড়া শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। যে মহড়ার তত্ত্বাবধানে খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্ট বিদেশের মাটিতে রাশিয়ার সৈন্য ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরই এই ধরনের মহড়া ওই এলাকায় যুদ্ধ উত্তেজনা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তা হলে ইউক্রেনে রাশিয়ার পুরোদস্তুর হামলা কি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? না কি, তারা পক্ষান্তরে চাপ বাড়াতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহলের উপর?
পুতিনকে বিদেশে সৈন্য ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট। তার পরই বেলারুশের নেতা অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে পাশে নিয়ে কম্পিউটারের পর্দায় যৌথ পরমাণু মহড়া দেখলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাহাজ, বিমান ও ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চলছে। এবং জল ও স্থল থেকে নির্ভুল দক্ষতায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সফল হয়েছে তা। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের অভিমুখ কি ইউক্রেনের দিকে? ক্রমেই চড়ছে আশঙ্কার পারদ।
মহড়া শেষে ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রের মহড়ায় ‘হাইপারসনিক’ এবং ‘ক্রুজ’ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ জায়গা থেকে গোটা মহড়ায় চোখ রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন ও বেলারুশের নেতা লুকাশেঙ্কো। মহড়া শেষে সেনা আধিকারিকদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশ মনে করছে, পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার জন্য এই সময় বেছে নেওয়ার একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে ক্রেমলিনের। তাঁদের মত, মহড়ার মাধ্যমে মস্কো পশ্চিমী দুনিয়াকে বার্তা দিল, যাতে তাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
এমন একটি সময় এই মহড়া হল যখন, রাশিয়ার উপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। হোয়াইট হাইসে দাঁড়িয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার উপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করছেন। কিন্তু তাতে কি রাশিয়াকে নিরস্ত করা যাবে?
জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের। সেখানেও লাভরভ অভিযোগ করেছেন, এই এলাকার উপর রাশিয়ার আইনি অধিকার খর্ব করার চেষ্টা চলছে। যা শুধু ইউরোপ মহাদেশই নয়, গোটা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পরিপন্থী।