কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

পারিবারিক রীতি মেনে কলকাতার গঙ্গায় বাপ্পি লাহিড়ীর অস্থি বিসর্জন পরিবারের

March 3, 2022 | 2 min read

বাংলার ছেলে বিশ্বজয় করেছেন। তবে বাংলার সঙ্গে তাঁর টানে ভাঁটা পড়েনি এতটুকু। মৃত্যুর পরেও যেন সে প্রমাণই মিলল। কারণ, মুম্বইয়ে শেষকৃত্য হলেও বৃহস্পতিবার সকালে আউট্রাম ঘাটে তাঁর অস্থি বিসর্জন করলেন বাপি লাহিড়ীর (Bappi Lahiri) পরিজনেরা।

নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন বাপি লাহিড়ীর পরিজনেরা। সঙ্গে ছিল ‘ডিস্কো কিং’য়ের অস্থি। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁর তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে অস্থি আউট্রাম ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

Sujit Basu

কলকাতায় গঙ্গাতেই ভাসানো হয়েছিল বাপি লাহিড়ীর বাবা সংগীতশিল্পী অপরেশ লাহিড়ীর অস্থিও। তাই পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী অপরেশ লাহিড়ীর ছেলে বাপিরও কলকাতায় অস্থি বিসর্জন।

Sujit-Basu

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি শিল্পী বাপি লাহিড়ী। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। OSA তথা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একেবারে ছোটবেলা থেকেই সংগীত জগতের মানুষদের সঙ্গে বেড়ে ওঠা বাপি লাহিড়ীর। বাবা ও মা দু’জনেই ছিলেন সংগীত জগতের মানুষ। ৩ বছর বয়সে তবলা বাদক হিসেবে কেরিয়ার শুরু। আটের দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জগতে পপ-ডিস্কো গানের যে জোয়ার এসেছিল তাঁর অন্যতম পুরোধা ছিলেন বাপি। ‘ডিস্কো ডান্সার’ (১৯৮২), ‘ডান্স ডান্স’ (১৯৮৭) হয়ে একের পর এক ছবিতে করা তাঁর সুর সেই সময়ের তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলিত করেছিল।

Bappi Lahiri

সংগীতের সমসাময়িকতা যে তাঁর নাড়ির স্পন্দনে তা নতুন করে প্রমাণিত হয়েছিল ২০১১ সালে ‘ডার্টি পিকচার’ ছবিতে ‘উ লা লা’ গানের মধ্যে দিয়ে। তবে কেবল পপ বা ডিস্কো নয়, রোম্যান্টিক গানেও যে তিনি অনন্য তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কেরিয়ারের শুরুতে ‘চলতে চলতে’ (১৯৭৬) ছবিতে বাপির করা সুর থেকেই। ২০২০ সালে ‘বাগী ৩’ ছবিতে ‘ভাঙ্কাস’ গানটিই ছিল তাঁর শেষ কাজ। মাঝের দীর্ঘ সময়ে সুরকার তো বটেই, কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও যে অবদান তিনি রেখে গেলেন তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।

Bappi-Lahiri
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Ganges, #Bappi lahiri

আরো দেখুন