রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিশ্বভারতীর বানানো দেওয়াল রাতারাতি গায়েব, খুশি আম জনতা

April 4, 2022 | 2 min read

সীমানা নির্ধারণের জন্য শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্র লাগোয়া রাস্তায় বিশ্বভারতীর দেওয়া পাঁচিল রাতারাতি উধাও। খবর নেই খোদ কর্তৃপক্ষের কাছেও। অভিযোগ জমা পড়েনি শান্তিনিকেতন থানাতেও। কে বা কারা পাঁচিল ভেঙেছে জানা না গেলেও দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ব্যবহার করতে পেরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এ খবর জানা মাত্রই তৎপর হয়েছে বিশ্বভারতী। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই স্থানে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্র লাগোয়া সুরশ্রীপল্লি যাওয়ার রাস্তায় পাঁচিল তুলে জনসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী। এ কথা জানতে পেরে পরের দিন অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি দূরদর্শন কেন্দ্র লাগোয়া অবরুদ্ধ রাস্তার পরিদর্শনে যান তৎকালীন জেলাশাসক বিজয় ভারতী ও পুলিস সুপার শ্যাম সিং। সেখানে জরুরি কাগজপত্র দেখাতে না পারায় নির্মাণকর্মীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রাচীর নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তারপর থেকেই বন্ধ ছিল চলাচল। ফলে শান্তিনিকেতন থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল যেতে অনেকটা ঘুরতে হতো স্থানীয়দের। ওই পাঁচিল সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান বোলপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। কিন্তু অভিযোগ, এরপরেও কর্তৃপক্ষ নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় ওই রাস্তা বন্ধই ছিল। ফলে, গত এক বছর চার মাস ধরে সাধারণ মানুষকে হয়রান হতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, ওই পাঁচিল উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু কে বা কারা ওই পাঁচিল ভেঙেছে জানতে না পারলেও ওই রাস্তা পুনরায় ব্যবহার করতে পারে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পাঁচিল ভাঙ্গার বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশিস পণ্ডিত। তবে, রবিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপরতা দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতী। এদিন ওই ভাঙা পাঁচিলের অংশটি পরিদর্শন করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, পুনরায় পাঁচিল দিয়ে বিশ্বভারতী নিজের সীমানা নির্ধারণ করবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এমনই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দোপাধ্যায় বলেন আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই, তাই কিছু বলতে পারব না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Santiniketan, #wall, #birbhum, #Visva Bharati

আরো দেখুন