দেশ বিভাগে ফিরে যান

এক পরিবারে একজনই হবে প্রার্থী, পরিবারতন্ত্রের বদনাম ঘোচাতে চাইছে কংগ্রেস?

May 13, 2022 | 2 min read

ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে। সেই লক্ষ্যে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে কংগ্রেস (Congress)। বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে যুবসমাজকে সামনের সারিতে তুলে আনতে একসঙ্গে দলীয় কাঠামোয় একাধিক সংস্কারের পথে হাঁটছে এআইসিসি (AICC)।

পরিবারতন্ত্রের বদনাম ঘোচাতে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে এক পরিবারের একজন সদস্যকেই টিকিট দেওয়া হবে। বাবা সাংসদ-ছেলে বিধায়ক, কিংবা বাবা মন্ত্রী-ছেলে সাংসদ, এসব আর চলবে না। শুক্রবার কংগ্রেসের চিন্তন শিবির শুরুর ঠিক আগে আগে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন জানিয়েছেন, এক পরিবার এক টিকিট নীতিতে মোটামুটি সবাই একমত। এই নীতি থেকে শুধু গান্ধী পরিবারকে (Gandhi Family) বাদ রাখা হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এক পরিবারের একাধিক সদস্য তো টিকিট পাবেনই না। কোনও নেতার আত্মীয়কে টিকিট পেতে হলেও তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে হবে।

শোনা যায়, কংগ্রেসের অন্দরে ‘বৃদ্ধ’ নেতাদের দাপট এতটাই বেশি যে, অনেক তরুণ প্রতিভা সুযোগ না পেয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অশোক তানওয়ার, জিতিন প্রসদা, আরপিএন সিংদের দলত্যাগই তার প্রমাণ। যুবসমাজের প্রতি বঞ্চনার এই অভিযোগ খণ্ডন করতেও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইসিসি। অজয় মাকেন (Ajay Maken) জানিয়েছেন, কংগ্রেসের পদাধিকারিরা আর এক পদে পাঁচ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। প্রয়োজনে ৩ বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডও চালু করা হতে পারে। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের সব কমিটিতে অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যের বয়স পঞ্চাশের নিচে রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হাত শিবির।

বলে রাখা দরকার ‘এক ব্যক্তি-এক পদ’ (One Person One Post) নীতি চালুর চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যা করতে গিয়ে পদে পদে ধাক্কাও খেতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। স্বাভাবিকভাবেই এক পরিবারে এক টিকিটের নীতি চালু করাটাও হাত শিবিরের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। তাছাড়া, যেভাবে বর্ষীয়ান নেতাদের সরিয়ে যুব সমাজের প্রতিনিধিদের সব কমিটিতে তুলে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটাও কতটা সম্ভব তা নিয়েও বেশ সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Congress, #Rahul Gandhi, #sonia gandhi

আরো দেখুন