জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দিয়ে রেকর্ড আয় বাংলার
স্ট্যাম্প ডিউটিতে (stamp duty) ছাড় দিয়ে রেকর্ড আয় বাংলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ করে ছাড় দেওয়ায় বিপুল অঙ্কের অর্থ এল বাংলার ভাঁড়ারে। কেবল সেপ্টেম্বর মাসেই ওই খাতে বাংলার কোষাগারে এসেছে ৯৭০ কোটি ২৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৫০ টাকা। ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে সেপ্টেম্বরে মাসে মোট ২ লক্ষ ১৯ হাজার ১৫১টি দলিল হয়েছে। বিগত বছর ওই একই সময়ে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে ৭৪২ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। চলতি বছর গত বছরের তুলনায় ওই নির্দিষ্ট সময়ে ২২৮ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের সময়সীমা থাকায় ওই সময় পর্যন্ত বহু মানুষ ফ্ল্যাট, বাড়ি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যদিও গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ছাড়ের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে বছরের শেষ অবধি মানুষ ফ্ল্যাট, জমি, বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ওই সুবিধা পাবেন। গত বছর জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের ঘোষণা করায়, ওই খাতে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২০-২১ অর্থ বছর স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে বাংলার (West Bengal) ৫,২৮০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। সে বছর জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী ২ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন। আগস্ট মাস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ওই খাতে ৭,১০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১,৮২০ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলার শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলে স্ট্যাম্প ডিউটির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ছয় শতাংশ ও পাঁচ শতাংশ। দুই শতাংশ ছাড়ের ফলে গ্রামাঞ্চলে ও শহরাঞ্চলে তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে তিন শতাংশ এবং চার শতাংশ। আবার সম্পত্তির দাম এক কোটি টাকার বেশি হলে, অতিরিক্ত এক শতাংশ ছাড় পাবেন ক্রেতারা। ক্রেতারা সেই সুযোগকেও কাজে লাগাচ্ছে। ছাড়ের কারণেই অনেকে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি করতে এগিয়ে আসেছেন। রাজ্যের আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।