ভগ্ন হৃদয়ে ব্যক্তিগত বিমানে পরিবার নিয়ে কাতার ছাড়লেন রোনাল্ডো, দেখুন সেই ভিডিও
কিছুদিন আগে তাঁর সাড়া ফেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বলেছিলেন, ‘ইন মাই লাইফ দ্য বেস্ট টাইমিং ইজ অলওয়েজ মাই টাইমিং।’
তাঁর নিজের ঠিক করা সময়ই সেরা সময়—তাই বুঝি? তাহলে এর ১৯ দিন পর আল তুমামা স্টেডিয়াম শেষের যে ছবিটা আঁকল, সেটার ব্যাখ্যা কী! শেষ বাঁশি বাজতেই দুহাতে মুখ ঢেকে বসে পড়ার ওই ছবিটাই তো চিরদিনের জন্য ‘রোনালদোর বিশ্বকাপ’ হয়ে রইল। এরপর কোনো দিকে না তাকিয়ে সটান টানেলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেই মাঠের বদলে ক্যামেরা অনুসরণ করল তাঁকেই। টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে হেঁটে যেতে যেতে চোখ মুছছেন রোনালদো। একসময় অদৃশ্য হয়ে গেলেন। বিশ্বকাপ থেকেও।
এবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে কাতার ছাড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গত শনিবার মরক্কোর কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল। কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর চোখের জলে মাঠ ছাড়েন রোনাল্ডো।
সোমবার সকালে দোহা থেকে বিশেষ জেটে পর্তুগালের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে নয়, রোলাল্ডো ব্যক্তিগত বিমানে পরিবার নিয়ে লিসবনের উদ্দেশে উড়ে গেলেন।
এই বিশ্বকাপে রোনাল্ডো এসেছিলেন পুরোনো দিন ফিরিয়ে আনতে। দারুণ পারফরম্যান্স করবেন, আবার তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যাবে। আবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারেন, এমন একটা ক্লাব বেছে নেবেন।
সেই বিশ্বকাপই যে রোনাল্ডোকে এমন রাজ্যপাট হারানো এক রাজা বানিয়ে দেবে, কে জানত!