রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে বিএল সন্তোষ, অমিত শাহদের সব ‘ওষুধ’ই ব্যর্থ হচ্ছে

December 17, 2022 | 2 min read

শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছন অমিত শাহ। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে মা উড়ালপুল হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে পৌঁছন অমিত শাহ। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে এলাহি আয়োজন করা হয়। ঢাক, ঢোল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য দপ্তরে বৈঠক করবেন অমিত শাহ!

প্রকাশ্যে বলা না হলেও রাজ্য বিজেপি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সবাই জানেন, এদিনের বৈঠকের মূল বিষয় ছিল- দলের গোষ্ঠী কোন্দল। অন্তর্কলহে জর্জরিত রাজ্য বিজেপিকে আদৌ কি কোনও পথ দেখাতে পারলেন অমিত শাহ? কৌতুহল এখন তা নিয়ে।

এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা নরমে-গরমে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিলেও, তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। ফলে দলের শীর্ষ নেতাদের এই দ্বন্দ্বে বিভ্রান্ত বিজেপির কর্মীরা।

কোনও ওষুধেই যে কাজ হচ্ছে না, তার একটা প্রমান শুক্রবারই মিলেছে। বৃহস্পতিবার বিজেপি’র সর্বভারতীয় নেতা বিএল সন্তোষ সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রে খবর বিএল সন্তোষ কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রত্যেককে। কিন্তু তাতে যে কাজ বিশেষ হয়নি, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তা বোঝা গেল।

শুক্রবার ব্যান্ডেলে বসেছিল পদ্মপার্টির রাজ্য কমিটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে দিলীপ ঘোষ ফের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, প্রাতর্ভ্রমণ করতে ‘দম’ লাগে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ বিনিময় চলছে। তবে এদিনের খোঁচার জবাব দেননি দ্বিতীয় জন। এদিকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অন্য দু’পক্ষের থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। মুখ ‘বন্ধ’ রাখার ‘পরামর্শ’ও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। বিজেপি সূত্রে আরও খবর, এদিন তিনজন বৈঠক হাজির থাকলেও একে অপরের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা প্রায় বলেননি। আবার বর্তমান বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিরোধের আবহের মধ্যেই এদিন তাঁর পূর্বসূরি কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের বাড়ি যান দিলীপ ঘোষ।

ফলে ‍আরও একবার প্রাক্তন-বর্তমান রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা—ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত চেহারা বেআব্রু বঙ্গ বিজেপিতে। এই ত্রিমুখী বিবাদের চেহারা দেখে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে কর্মী মহলে। এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতা বলেন, ‘এমনিতেই হুগলি তো বটেই, রাজ্যে পর্যন্ত সংগঠনের হাড়ির হাল। তারপরে ‘কে বড়’, এনিয়ে লড়াই দলটাকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এবং বি এল সন্তোষজির প্রচেষ্টাতে যে কোনও কাজ হয়নি, তা এদিন স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#suvendu adhikari, #dilip ghosh, #BJP West Bengal, #sukanta majumder

আরো দেখুন