সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে চন্দ্রগুপ্ত ও বিম্বিসার!
আগামী ২৬শে জানুয়ারি রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বিম্বিসার ও চন্দ্রগুপ্ত। ঠিকই পড়েছেন। তবে প্রাচীন ভারতের সম্রাট নন, কলকাতা মাউন্টেড পুলিশে অন্তর্ভুক্ত দু’টি ঘোড়ার নাম বিম্বিসার ও চন্দ্রগুপ্ত। কুচকাওয়াজে আগেও কলকাতা পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনী অংশ নিয়েছে। তবে বাহিনীর দুই নতুন সদস্য বিম্বিসার ও চন্দ্রগুপ্ত এ বারই প্রথম সামিল হচ্ছে।
কলকাতা মাউন্টেড পুলিশই দেশে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর মধ্যে প্রাচীনতম। এখনও ময়দান এলাকায় টহলদারি এবং আইন-শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় এই বাহিনীকে। বাহিনীকে আরও কার্যকরী করা যায় কী ভাবে, তারও চিন্তাভাবনা করছেন লালবাজারের কর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশে ৬৮টি ঘোড়া রয়েছে। তার মধ্যে ১০টি নতুন। এক সময় ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হত বাছাই করা ঘোড়া। তবে এখন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি-মুম্বই থেকেও উন্নত জাতের ঘোড়া আনা হয়। তার পর চলে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ। নতুন ১০টি ঘোড়ার মধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দিয়েছে বাহিনীতে। তার মধ্যেই রয়েছে বিম্বিসার-চন্দ্রগুপ্ত।
ব্রিটিশ জমানায় মাউন্টেড পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ব্যবহার করা হত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণেও। কুচকাওয়াজ বা পুলিশ স্পোর্টসেও ঘোড়সওয়ার বাহিনীর কসরত দেখতে পান সাধারণ দর্শক। তবে শহরে যানবাহন অনেক বেড়েছে। ফলে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে এখন আর ব্যবহার হয় না ঘোড়সওয়ার বাহিনী।
তবে ইডেনে ক্রিকেট বা ময়দানে ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নামানো হয়। পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘোড়সওয়ার বাহিনীর সুবিধা হল একজন ঘোড়সওয়ার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সময় প্রায় ২০ জন পুলিশকর্মীর কাজ করতে পারেন। কারণ, ঘোড়সওয়ার বাহিনী থাকলে বিক্ষোভকারীরা ভয়ে দূরে সরে যান। তবে সব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এই বাহিনী ব্যবহার করা যায় না। তাতে কেউ ঘোড়ার ক্ষুরে জখম হতে পারেন।
দিল্লিতে বছর কয়েক আগে টহলদারির সময় গাড়ির ধাক্কায় পুলিশের একটি ঘোড়া ও এক পুলিশকর্মী মারা যান। তাই কোনও শহরেই এখন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয় না।