শাহীস্নানে জনস্রোত, পুণ্যার্থীদের লহরী আছড়ে পড়ল ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গতকাল অর্থাৎ সোমবার ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায় ছিল শাহীস্নান, প্রত্যাশা মতোই এদিন বিপুল জনসমাগম হল। পুণ্যার্থীদের ঢেউ আছড়ে পড়ল ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায়। শাহীস্নান সারলেন সাধুসন্তরা, হাজার হাজার মানুষও গঙ্গা স্নান সারলেন। মহাকুম্ভ দেখতে ত্রিবেণীতে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সকাল থেকেই চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল। গঙ্গার ঘাট, মেলার মাঠ জুড়ে শুধুই সাদা-কালো মাথার সারি। গঙ্গার অবস্থাও একই রকম, তিল ধারণের জায়গা নেই। বলাবাহুল্য, কুম্ভমেলা ব্যাপক অর্থে জনপ্রিয়তা পেল, একই সঙ্গে মহাসমারোহেই ফিরল সাতশো বছরের ঐতিহ্য।
ত্রিবেণীর কুম্ভ সাতশো বছরের পুরনো, সেই ঐতিহ্যকেই ফেরানোর চেষ্টা করা হল। গত প্রায় তিন বছর ধরে কুম্ভ আয়োজনের জন্য নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। মহন্ত, মহারাজদের একজোট করা হয়েছে। প্রশাসন ও পুরসভা সক্রিয় সহযোগিতায় সফলভাবেই ফিরল কুম্ভের ঐতিহ্য। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সাধুসন্তদের সমাগম ছিল নজরকাড়া। আয়োজকরা বলছেন, প্রত্যাশার চেয়েও প্রায় দশগুণ বেশি পুণ্যার্থী ও সাধু এসেছেন ত্রিবেণীর মেলায়।
পুণ্যস্নানের দিন ঠিক ছিল সোমবার, রবিবার থেকেই ভিড় জমতে শুরু হয়। ফলে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল, যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসবেন। কার্যত সত্যি হল সে কথা, মথুরা, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আখড়া থেকে সাধুরা এসেছিলেন। বাংলার মধ্যে বীরভূম, কোচবিহার, গঙ্গাসাগর এছাড়াও অসমসহ দেশের নানান জায়গার আখড়া ও সঙ্ঘ থেকে সাধুরা এসে ভিড় জমিয়েছেন ত্রিবেণীর ঘাটে। সন্ন্যাসী, নাগা সন্ন্যাসী, ভক্ত, পুজো-অর্চনা, যজ্ঞের সব মিলিয়ে অনন্য হয়ে উঠেছে ত্রিবেণী। দুপুরের পর বেলা গড়াতেই শাহীস্নানের জন্য সাধুসন্তরা গঙ্গায় নেমে পড়েন। মন্ত্রোচ্চারণে গঙ্গাপাড় তখন মিনি ইন্ডিয়া। সাধুদের স্নানের পরই গঙ্গায় নামেন পুণ্যার্থীরা। সব মিলিয়ে ত্রিবেণীর মহাকুম্ভ সুপার হিট।