যোগীরাজ্যে একশো দিনের কাজ করেন মৃতরা! ডবল ইঞ্জিন সরকারের ম্যাজিক?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডবল ইঞ্জিন যোগীরাজ্যে একশো দিনের কাজ করেন ভূতেরা! অবাক হলেও খোদ যোগী সরকারের তথ্যই তা বলছে। জবকার্ডে আজও রয়েছে মৃতদের নাম। মজুরিও নিচ্ছেন তারা। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটছে ডাবল ইঞ্জিন যোগীরাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে একের পর এক গ্রামে, এমন ভূতুড়ে জব কার্ড হোল্ডারদের সংখ্যা অজস্র। ভূতুড়ে উপভোক্তাদের নিয়েই দুর্নীতি ধরা পড়েছে যোগী সরকারি নথিতে। দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও নিরুত্তর প্রশাসন, হেলদোল নেই ডবল ইঞ্জিন সরকারেরও।
যোগী রাজ্যের বান্দা জেলার নারায়ণী ব্লকের ভানোয়ারপুর গ্রামের সরকারি নথি বলছে, জনৈকা মায়েদেবী ২০২২ সালের মে মাসে একশো দিনের প্রকল্পে ১৩ দিন কাজ করেছেন। তিনি আবার ২ হাজার ৫৫৬ টাকা মজুরি পেয়েছেন। ১৮ জুন সে টাকা তুলেও নিয়েছেন। যদিও যোগী সরকারের তথ্য বলছে মায়েদেবী আর জীবিত নেই। ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি মারা গিয়েছেন। আবার জনৈক দয়ালুর স্ত্রী প্রেমা ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বরে মারা গিয়েছে। যদিও সরকারি রেকর্ড বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি ১০০ দিনের কাজে করে টাকা আয় করেছেন। মৃতদের জীবিত হয়ে উঠে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করে মজুরির টাকা তোলার ঘটনা একটা-দুটো নয়, ভুরি ভুরি হয়েছে। বান্দা জেলার গ্রামগুলিতে এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু যাদের নাম নিয়ে এসব করা হচ্ছে, সেই মৃতদের পরিবার কিছুই জানেন না। ভূতুড়ে উপভোক্তা ও ভুয়ো মাস্টার রোলের মাধ্যমে লাগামছাড়া দুর্নীতি চলছে, বলে অভিযোগ উঠছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে।
হাদাহা মাফি গ্রামেও একই ছবি। সেখানেও মৃতরা কাজ করছেন, মৃতদের নাম টাকা তোলে হচ্ছে। গোটা উত্তরপ্রদেশে একশো দিনের প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে পাহাড়প্রমাণ অভিযোগই জমা পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকারি আধিকারিকরা। স্থানীয়রা বলছেন, জেলাশাসকের দপ্তর থেকে শুরু করে ব্লক উন্নয়ন দপ্তর সর্বত্র দুর্নীতি চলছে, নিষ্পত্তির কোনও পথ পাচ্ছে না আমজনতা।