মিথ্যা খবরের যুগে সত্যের শিকার হচ্ছে, বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: “মিথ্যা খবরের যুগে সত্যের শিকার হচ্ছে। সমাজমাধ্যমের পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানে এমন সব বীজ অঙ্কুরিত হতে পারে যা বড় ক্ষতিসাধন করে ফেলতে পারে।’’ শুক্রবার আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
পাশাপাশি দুঃখপ্রকাশ করে চন্দ্রচূড় জানান, মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেথা গিয়েছে। প্রধান বিচারপতির দাবি, দেশে একে অপরকে নিয়ে মজা করাও একটি গভীর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বিচারপতিরাও এর থেকে রেহাই পান না।
তিনি বলেন, ‘‘এমন একটি যুগে আমরা বাস করছি যেখানে মানুষের ধৈর্য এবং সহনশীলতা কম। মানুষকে নিয়ে মজা করার, তাঁদের ছোট করার প্রবণতা অনেক বেশি। বিচারপতিদের নিয়েও মজা করা হয়।’’
তিনি জানান, সমাজমাধ্যমে, বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে ট্রোলিংয়ের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সমাজমাধ্যম অপব্যবহার বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যে কোনও মানুষ অন্যের কাছে মজার পাত্র হয়ে উঠতে পারেন।
এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে কেন মহিলা বিচারপতির সংখ্যা কম, এই প্রশ্ন বারবারই শুনতে হয় আমায়। তবে উত্তরটা খুব একটা সহজ নয়। আমি চাই সত্যিটাই সামনে আসুক।” তাঁর ব্যাখ্যা, আজ থেকে দুই দশক আগেও পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা যেত।