দেশ বিভাগে ফিরে যান

বাড়িতে, স্কুলে অস্বস্তিতে ভুগছে রূপান্তরকামী কিশোর-কিশোরীরা, চাঞ্চল্যকর তথ্য সমীক্ষায়

March 26, 2023 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যেঃ transgender feed

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিন এগোচ্ছে, আধুনিককে পিছনে ফেলে সমাজ এখন উত্তরাধুনিক কিন্তু রূপান্তরকামীরা কি আজও নিরাপদ এ সমাজে? এ প্রশ্নর উত্তর খুঁজতে চেয়ে সমীক্ষা করেছিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সমাজ যাদের নারীসুলভ পুরুষ বা পুরুষালি মেয়ের তকমায় দাগিয়ে দিয়েছে সমাজ, তারা আজও বাড়িতে বা স্কুলে রীতিমতো কোণঠাসা। সেসব কিশোর কিশোরীদের জন্য, স্কুলে ক্লাসের অবকাশের সময়টুকু, শৌচাগারে যাওয়া, ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়াও আতঙ্কের। পাঁচ জেলায় সমীক্ষা করেছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ১৫০০ জন অপ্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই এমন সমস্যায় ভুগছেন। ফলে কিশোর বয়সীদের মধ্যে মানসিক রোগের প্রবণতা বাড়ছে। মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছে ছোটরা এবং তাদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ক্রমেই বাড়ছে। এমনটাই মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ১৫০০ জন ১৪-১৮ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রায় ২৯৬ জন কিশোর-কিশোরী নিজেদের তথাকথিত ছেলে বা মেয়ে পরিচয়ে পরিচিত করতে চায় না। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, রূপান্তরকামী পরিচয়ে স্বচ্ছন্দ ছোটদের ৭৩.৬ শতাংশ বাড়িতে নিরাপদ বোধ করে না। ৬২.৫ শতাংশ ছোটরা স্কুলে অস্বস্তিত ভোগ করে। কমিশনের পদাধিকারীরা জানাচ্ছেন, তথাকথিত ছেলে বা মেয়েসুলভ এমন ছোটরা, অনেকেই বাড়িতে নির্যাতনের শিকার। স্কুলও তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সে কারণে সমস্যা ঠিক কোথায়, তা খুঁজতেই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার ফলাফল দেখে, কমিশনের উপদেষ্টারা রূপান্তরকামী ছোটদের জন্যও পৃথক ও নিরাপদ হোমের সুপারিশ করছেন। স্কুল পাঠ্যক্রমেও এ সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। কমিশনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় সচেতনতার কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#transgenders, #schools, #Youngsters, #Homes

আরো দেখুন