জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিতে এককাট্টা বিজেপি বিরোধী দলগুলি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে সামাজিক ন্যায় বিষয়ক আলোচনাচক্র সংগঠিত হয়। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে মোদী সরকারকে তোপ দেগে তোলা হল জাতভিত্তিক জনগণনা শুরু করার দাবি। কংগ্রেসের স্বরে স্বর মিলিয়ে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি-র প্রতি দরদ থেকে নয়। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য থেকে রাজনীতি করাটাই ছিল শাসক দলের উদ্দেশ্য। বিজেপি-র যদি ওবিসি নিয়ে এতই চিন্তা থাকবে তা হলে তো উচিত ছিল এত দিনে তাদের সমাজে প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া।’
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ভিডিয়ো মাধ্যমে উপস্থিত থেকে বলেন, “বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে দলিত ও উপজাতিদের উপর অত্যাচারে দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে। প্রায় ২৬ ও ৩০ শতাংশ।”
এম কে স্ট্যালিন, কংগ্রেসের অশোক গহলৌত, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, এসপি-র অখিলেশ যাদব, বিআরএস-র কে কেশব রাও, আপ-এর সঞ্জয় সিংহ, এনসি-র ফারুক আবদুল্লা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির মতো উপস্থিত প্রায় সব নেতাই আজ অবিলম্বে জাতভিত্তিক জনগণনার ডাক দিয়েছেন। গণনার উদ্দেশ্য হল সমস্ত সম্প্রদায়ের আর্থিক পরিস্থিতির স্পষ্ট অনুমান পাওয়া। যাতে তাঁদের উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করা যায়।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও দেশের প্রতিপ্রান্তে এখনও মানুষ বৈষম্যের শিকার। সেই বৈষম্য দূর করে এদিন প্রশংসিত হল বাংলার সামাজিক কল্যাণ প্রকল্প। সেই সঙ্গে এদিনের বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত আলোচনা সভায় উঠে এল কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের জন্য অনুদান বা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র প্রসঙ্গ।