পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

রাতে হেঁটে বেড়ান মা কালী, জানুন গুহ্যকালীর হাড় হিম করা কাহিনী

April 4, 2023 | 2 min read

নলহাটি থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির অবস্থিত। ছবি: নিজস্ব চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পীঠমালায় বীরভূমের স্থান অন্যতম, এখানে রয়েছে অসংখ্য কালী মন্দির। আকালিপুরে রয়েছে গুহ্যকালি মন্দির। নলহাটি থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির অবস্থিত। বয়সে এই মন্দির বাংলার অন্যতম প্রবীণ মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। গুহ্য কালীর মন্দিরের ইতিহাস শুরু হচ্ছে মগধরাজ জরাসন্ধ্রর আমল থেকে। মগধরাজ জরাসন্ধ্র গোপনে এই মাতৃমূর্তির পুজো করতেন। তারপর কাশির রাজা চৈত সিং-এর হাত হয়ে, মহারাজ নন্দকুমারের কাছে এসে পৌঁছয় এই কালী মূর্তি।


মহারাজ নন্দকুমার গুহ্যকালী মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠার করেন। মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসি হলেও মন্দিরের কাজ সম্পূর্ন করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

এই মূর্তি চুরি হতেও বসেছিল। কাশি রাজ চৈত সিংয়ের কাছে এই মূর্তি দেখে, লোভে পড়েন ওয়ারেন হেস্টিংস। মাতৃ মূর্তি সুদূর লন্ডনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন হেস্টিং। যদিও তা হয়নি। জনশ্রুতি রয়েছে, মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসির পর, মন্দিরটি তৈরির সময় মন্দিরে ফাটল দেখা গিয়েছিল। মা নাকি স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, তাঁর মন্দিরের প্রয়োজন নেই। মা নিজেই অসম্পূর্ণ মন্দিরে থাকতে চান, সেই কারণে মন্দির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রচলিত বিশ্বাস, গুহ্য কালী সাধনা করলে নাকি সাধক দিব্যদৃষ্টি লাভ করেন, অলৌকিক কাজ সহজেই করতে পারেন। মন্দিরের সামনে প্রবাহিত হয়েছে ব্রাহ্মণী নদী। বর্ষাকালে নদীর জল উঠে এসে মায়ের মন্দিরের সিঁড়ি স্পর্শ করে। পাশেই রয়েছে মহাশ্মশান।

ভাকদের বিশ্বাস, মা খুবই জাগ্রত। তিনি নাকি প্রতিদিন রাতে মন্দির থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেই কারণে প্রত্যেকদিন রাতে মাকে শয়ন করিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কালীপুজোর দিনও তার ব্যতিক্রম ঘটে না। কালীপুজোর রাতে সব জায়গায় যখন পুজোপাঠ চলে, তখন বন্ধ থাকে এই মন্দিরের দরজা। প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো গুহ্য কালীমন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহে পা মুড়িয়ে বসে আছেন দেবী। মা এখানে দ্বিভূজা। এই মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে রটন্তি কালীপুজো হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Guha Kali, #Akalipur, #West Bengal, #birbhum

আরো দেখুন