মানতাসা, রতনচূড়ের GI-এর দাবিতে উদ্যোগ বাঙালি গয়না কারিগরদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার অলিগলিতে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র সোনার দোকান। বংশাক্রমে সেই সব দোকান আজও চলছে। কুঠুরির মতো ছোট্ট ছোট্ট দোকানে তৈরি হচ্ছে অন্যতম সেরা গয়না। কারিগরদের দক্ষতা সর্বজনবিদিত। যুগ যুগ ধরে সেই বাঙালি কারিগররা মা-ঠাকুমাদের মানতাসা, সাতনরি হার, পাতি হার, রতনচূড়, মিনাকারির হাঙরমুখ বালা ইত্যাদি গয়না বানিয়ে চলেছে। সেই সব গয়নার জি আই আদায়ে উদ্যোগী কারিগররা।
শৈল্পিক মেধা, দক্ষতা, শিল্পীসত্তা এবং পরিশ্রমে তৈরি এই সব কারুশিল্পের স্বত্ব নিজেদের হাতে নিতে চাইছে কলকাতার গয়না নির্মাতারা। গয়নার জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই তকমার জন্যে আবেদন করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলেন কারিগররা। এবার সে কাজে আরও এক ধাপ এগিয়ে, গবেষণার কাজ শুরু করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখের কথায়, কলকাতার গয়নাকে জিআই তকমা পেতে হলে যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হবে। এনইউজেএস কাজটি করছে। তকমা আদায় হলে বাঙালি কারিগরদের কাজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে।