পঞ্চায়েতের ফল দেখে রাজ্যে ৩৫টি লোকসভা আসন দখলের স্বপ্ন ‘চুরমার’ BJP-র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল চিন্তায় ফেলেছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তারা বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্য স্থির করেছিল। কিন্তু পঞ্চায়েতের ফলাফল দেখে তারা হতাশ।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল গেরুয়া শিবির। তারপর থেকেই এরাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের জয়রথ। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পর, আগামী বছর ওই ১৮টি আসন ধরে রাখা নিয়েই আপাতত সন্দিহান বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দলের অন্দরে এখন প্রবল চর্চা— এই মুহূর্তে যদি ভোট হয়, তাহলে ১৮ তো দূরঅস্ত, বাংলায় আদৌ দু’অঙ্কে পৌঁছনো যাবে তো?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ‘আশানুরূপ’ হয়নি। যদিও তার কারণ হিসাবে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি শাসক তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস, হিংসা, ভোটগণনায় কারচুপি’ ইত্যাদির কথা বলছে। কিন্তু অনেকে বলছেন, পঞ্চায়েতের চেয়েও তাদের সাংসদদের বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত নিজেদের এলাকায় দলের ফলাফল নিয়ে।
সেই ফল যা বলছে, তাতে দলের কোনও সাংসদের এলাকাতেই বিজেপি উল্লেখযোগ্য ভাল ফল করতে পারেনি। মন্দের ভাল জগন্নাথ সরকার এবং সৌমিত্র খাঁ। তাঁদের দু’টি আসন যথাক্রমে রানাঘাট এবং বিষ্ণুপুরে বিজেপি তা-ও খানিকটা মানরক্ষা করেছে।
‘খুব খারাপ’ ফলাফলের তালিকায় আছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়। ‘কঠিন পরিস্থিতি’ নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকারের।
এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে বাংলার নেতারা ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টির তোপের মুখে পড়েছেন রাজনৈতিক সূত্রের খবর। তাই লোকসভা ভোট নিয়ে ধীরে চলো নীতির পক্ষপাতী মোদী-ব্রিগেড। বিজেপির শীর্ষ সূত্রের দাবি, আগে জেতা আসনের জয় নিশ্চিত করে তারপর বাকি সব কিছু ভাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ নেতাদের। অর্থাৎ, অমিত শাহের ৩৫ আসন দখলের স্বপ্ন যে ফের ‘চুরমার’ হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগের আট-ন’মাসে বাংলার প্রত্যেক সাংসদের ভূমিকা স্ক্যানারের তলায় আনতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে গতবারের জেতা আসনগুলিতে ঢালাও প্রার্থী বদলের পথেও হাঁটতে পারে বিজেপি।