রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

High-Tech প্রযুক্তির সাহায্যে দুঃসাহসিক ডাকাতি, কীভাবে কিনারা করল পুলিশ?

July 19, 2023 | < 1 min read

High-Tech প্রযুক্তির সাহায্যে দুঃসাহসিক ডাকাতি ছবি সৌজন্যে: আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত, বিহারী ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল, দু-বছর আগে; ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। গোল্ড লোন প্রদানকারী এক সংস্থার অফিসে ঘটেছিল সেই দুঃসাহসিক ডাকাতি। পোর্টেবল জ্যামার ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেক্টরের সাহায্যে ডাকাতি করতে এসেছিল একটি দল। ডাকাতির পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিল ডাকাতদল। সোমবার চুঁচুড়া আদালতের ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপতি শিবশঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন।

কেমন ছিল ঘটনাক্রম?

চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় ছিল ওই বেসরকারি স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিস। ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল এবং গোয়েন্দারা। ডাকাতরা তখনও সোনা নিয়ে সংস্থার দোকান ছাড়তে পারেনি। পুলিশকে দেখেই তারা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও প্রতিরোধ করে।

তদন্তে সামনে আসে, রীতিমতো প্ল্যানিং করে মাঠে নেমেছিল ডাকাত দলটি। চন্দননগরে ডাকাতির আগে সিঙ্গুরে ঘর ভাড়া নিয়েও থাকতে আরম্ভ করেছিল দলটি। মামলার তদন্তকারী অফিসার অতনু মাজি, প্রাণ বাজি রেখে ডাকাত ধরেছিলেন। ডাকাত দল জ্যামার ব্যবহার করায়, ঘটনার দিন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও সমস্যা হয়েছিল। ডাকাতির ঘটনায় প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চুঁচুড়ার তুলোপট্টি ঘাটের কাছ থেকে আরও একজনকে পাকড়াও করে চুঁচুড়া থানা। সেখানেও গুলি চলে। দোষীরা সকলেই বিহারের। ধৃতদের বিরুদ্ধে অন্য রাজ্যেও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মূলত গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে টার্গেট করে ডাকাত দলটি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#robbery, #police, #High-Tech

আরো দেখুন