রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গভীর সমুদ্রেও মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ, চিন্তায় মৎস্যজীবীরা

August 14, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শ্রাবণ মাস শেষ হতে চলল। অথচ বাঙালির পাতে সে ভাবে এখনও ইলিশের দেখা নেই । বাজারে কবে যে ঝকঝকে রুপোলি শস্যের দেখা মিলবে, তা-ও জানা নেই। খাদ্যরসিক বাঙালির রসনা অতৃপ্ত থাকছেই। উদ্বেগ বাড়ছে মৎস্যজীবীরা।

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সব সময় চিন্তায় থাকেন মৎস্যজীবী ও তাঁদের পরিবার। তবু পেটের টানে গভীর সমুদ্রে যেতে হয় তাঁদের। কিন্তু এ বার তো ঝুঁকি নিয়েও লাভের মুখটুকু দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা। গভীর সমুদ্রে খরচ হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা, অথচ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ। লোকসানেই চলছে ওদের। এক মৎস্যজীবী জানান, ট্রলার মালিকের থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। কী করে ঋণ মেটাবেন সে নিয়ে চিন্তায় আছেন।

জুলাইয়ে দিঘা মোহনায় ইলিশের আমদানি স্বাভাবিকই থাকলেও আগস্টের শুরুতে ঘটল ছন্দপতন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অবশ্য ইলিশের আমদানি ভালোই হয়েছে বলে জানা গেছে। মৎস্যজীবী সংগঠন জানিয়েছে, চলতি বছর মরসুমের শুরুতে ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ ও সাগর মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার টন ইলিশ মিলেছে। কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার ও পাথরপ্রতিমার বেশিরভাগ বাজারে ২০০-২৫০ গ্রামে মাছ বিকোচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে।

তবে চিন্তা রয়েছে ছোট ইলিশ নিয়ে। কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ছোট ইলিশ ধরে দেদার বিক্রি করছে। অথচ ২৩ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যে ও নিয়ে একাধিক নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। তা-ও ছোট ইলিশ ধরা থামছে না। এমনটা চললে আগামীতে বাঙালির পাতে আর ইলিশ পড়বে কি না, সেই নিয়ে আশঙ্কাও রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #hilsa fish, #fishermen

আরো দেখুন