দেশ বিভাগে ফিরে যান

হিংসা কবলিত মণিপুরে ‘কম’ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবিতে সরব মেরি

September 2, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুরে হিংসা অব্যাহত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ‘কম’ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিবাদমান দুই গোষ্ঠী যাতে কম সম্প্রদায়ের গ্রামগুলিতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে উপযুত্ত পদক্ষেপ করুক। এমনই দাবি তুললেন বক্সিং তারকা মেরি কম।

হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চাইলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য। মণিপুরের স্বীকৃত ৩৫টি উপজাতির অন্যতম কম। মেরি সেই উপজাতি ভুক্ত। তাঁর গ্রাম কাঙাতেই হিংসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শাহকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে মণিপুরের হিংসে বন্ধ করতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন ছ’বারের বিশ্বজয়ী বক্সার।

মেরি কমের অনুরোধ, নিরপেক্ষভাবে শান্তি ফেরানোর কাজ করুক সেনা, আধাসেনা ও রাজ্য পুলিস। বিভেদ ও ক্ষত ভুলে মেইতেই ও কুকি সহ সব গোষ্ঠীকে সহাবস্থানের অনুরোধও করেছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারজয়ী এই মহিলা বক্সার।

যদিও মণিপুরে হিংসা এখনও অব্যাহত। যদিও শুক্রবার অসম রাইফেলসের ডি জি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি সি নায়ারের দাবি, ভয়ঙ্কর দিনগুলি পিছনে ফেলে এসেছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। শান্তি ফেরার পথে এগচ্ছে মণিপুর। অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও এদিন খারিজ করে দিয়েছেন নায়ার। তাঁর দাবি, দুই গোষ্ঠীর থেকেই সমানভাবে অস্ত্র উদ্ধারের কাজ চালানো হয়েছে।

মেরির দাবি, কম উপজাতির মানুষেরা মণিপুরের হিংসায় কোনও পক্ষকেই কখনও সমর্থন করেননি। প্রথম থেকে তাঁরা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন। কম সম্প্রদায়ের জন সংখ্যা ১৪ হাজারের কিছু বেশি। ইম্ফলের চার পাশের উপত্যকাগুলিতে বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করেন তাঁরা। অন্য উপজাতিদের মতো পাহাড়ি এলাকায় তাঁরা থাকেন না। তাই চার মাসের হিংসায় স্বীকৃত উপজাতিগুলির মধ্যে তাঁরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mary Kom, #Manipur violence

আরো দেখুন