পঁচিশ হাজারে পদ্মশ্রী? কাদের কাছে এল ভুয়ো ফোন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কড়ি ফেললেই পদ্মশ্রী? এমনই অবাক করা প্রস্তাব পেলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ ডাঃ অঞ্জন অধিকারী। তিনি দীর্ঘদিন ছাত্র পড়িয়েছেন। গবেষণা করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। বহু উল্লেখযোগ্য কাজকর্মও করেছেন তিনি। এবার তাঁর কাছেই এল ফোন। দাবি করা হল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সেক্রেটারি ফোন করছেন। ফোন কর্তা বললেন, তিনি চান ডাঃ অঞ্জন অধিকারী পান। তিনিই সব করবেন, ডাঃ অঞ্জন অধিকারীকে কেবল পঁচিশ হাজার টাকা দিতে হবে।
জিনিসটা যে ভুয়ো তা উপলব্ধি করতে, খুব একটা বেশি সময় নেননি চিকিৎসক। গত দু’সপ্তাহে মেডিক্যাল কলেজের একাধিক চিকিৎসকের কাছে এমন ফোন গিয়েছে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্তার কাছেও গিয়েছে ফোন। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন স্বনামধন্য নিউরোলজিস্টের কাছেও ফোন গিয়েছে।
অঞ্জনবাবু জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গার চিকিৎসকদেরও একই দাবি করে ফোন করা হয়েছে, বলে শুনছেন তাঁরা। তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন এ বিষয়ে। অধ্যক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন তিনি। পুলিশ প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে, রাষ্ট্রপতির স্বঘোষিত সচিবের ফোনের টাওয়ার লোকেশন খড়দহে। যে ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে ফোন করা হচ্ছে, তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে নিযুক্ত থাকলেও বহুদিন আগে প্রয়াত। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রপতি ভবনের নাম ভাঁড়িয়ে কয়েক বছর আগে একটি প্রতারণার চক্র সক্রিয় ছিল। সেই চক্রের লোকজন ধরা পড়ার পর, এই কারবার কিছুদিন বন্ধ ছিল। সেই চক্রই ফের সক্রিয় হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দেশের যেকোনও মানুষ চাইলে যেকোনও গুণী মানুষের নাম পদ্ম সম্মানের জন্য সুপারিশ করতে পারে। সেল্ফ নমিনেশনের ব্যবস্থাও থাকে, অর্থাৎ নিজের কাজ তুলে ধরেও সম্মানের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ফর্ম ও পুরস্কার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে।