দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী সরকারের নয়া নিয়মের গেরোয় কোন সমস্যায় পড়তে চলেছেন ডাকঘরের গ্রাহকরা?

October 10, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রক গত ৬ অক্টোবর এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কোনও গ্রাহকের সিআইএফে আধার জমা না পড়লে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে, ডাকঘরের গ্রাহকদের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোন সিআইএফে এখনও আধার জমা পড়েনি, সার্কেলে তার তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪৩ শতাংশ আধার জমা হয়নি। দেশজুড়ে সিআইএফের সংখ্যা যেখানে ২২ কোটি ৫২ লক্ষ ৮০ হাজার। মাত্র ৯ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯২ হাজার আধার জমা হয়েছে। মোদী সরকারের এই নির্দেশিকার জেরে প্রায় ১৩ কোটি গ্রাহকের লেনদেন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলার ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার সিআইএফ রয়েছে। মাত্র ৯১ লক্ষ ২ হাজার সিআইএফে আধার জমা হয়েছে। মোদী সরকারের নির্দেশিকার গেরোয় কার্যত এক কোটির বেশি গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হতে চলেছেন। এর ফলে গ্রাহকের হয়রানি যে বাড়বে তা বলা বাহুল্য। ডাকবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় সাড়ে ২২ কোটি সিআইএফের মধ্যে ১০ কোটি ৯৩ লক্ষের আধার-সহ কেওয়াইসি সংক্রান্ত কোনও নথিই জমা নেই। অ্যাকাউন্টগুলি কীভাবে চালু রেখেছে ডাক বিভাগ? উঠছে প্রশ্ন।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের আধার জমা দিতে বলছে পোস্ট অফিস। গ্রাহকদের বড় অংশ তা জমা করেছেন। তাহলে কেন এই অবস্থা হল? এখনও কী করে এতজনের নথি বাকি রইল? ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস অভিযোগ করছেন, পরিকাঠামোর অভাব, কর্মীসঙ্কট ও ভিত্তিহীন নীতি না থাকার কারণে, ডাকঘরের ভুলে গ্রাহকদের ভুগতে হচ্ছে। বহু গ্রাহক আধার জমা করলেও, সফ্টওয়্যারে তা আপলোড হয়নি। ডাকবিভাগের এহেন অপদার্থতার মাশুল দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। তিনি আরও দাবি করছেন, কোনও অ্যাকাউন্ট বা স্কিমে টাকা জমার সময় একই ব্যক্তির নামে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সিআইএফ চালুর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে অতীতে। কিন্তু টাকা ফেরতের সময় নানান বাহানা করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #post office

আরো দেখুন