কলকাতায় ছাড়া পুজো কার্নিভাল দেখতে যেতে পারেন বাংলার এই জায়গাগুলিতেও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নিয়মমাফিক বিসর্জনের পুজো হয়ে গিয়েছে, উমা ফিরে গিয়েছেন। তবে এখনও প্রতিমা নিরঞ্জন বাকি। কলকাতার মতোই জেলায় জেলায় আয়োজিত হয় কার্নিভাল। ২৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার কোচবিহার শহরের বিশ্ব সিংহ রোডে অনুষ্ঠিত হবে পুজো কার্নিভাল। ৩৫টি পুজোকমিটি সোমবার পর্যন্ত কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসন এবং পুরসভা যৌথভাবে কার্নিভাল আয়োজন করছে। কোচবিহার রাজবাড়ি সংলগ্ন পার্কের সামনে পুজোকমিটিগুলো প্রতিমা নিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর এনএন রোড মিনা কুমারি চৌপতি হয়ে কার্নিভাল মঞ্চের সামনে আসবে। তিনটি মঞ্চ থাকছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
কোচবিহার শহরের সমস্ত প্রতিমা এবার তোর্সা নদীতে বিসর্জন হবে। ২৪, ২৫ এবং ২৬ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে নিরঞ্জনের জন্য। সর্বজনীন পুজো এবং বাড়ির পুজোর সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হবে এই ঘাটে।
আগামী ২৬ অক্টোবর কল্যাণীতে পুজো কার্নিভাল আয়েজিত হতে চলেছে। কল্যাণীর বড় পুজোগুলি তাতে অংশ নেবে। বারুইপুরে টং তলায় বারুইপুর মহকুমা দুর্গাপুজো কার্নিভাল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। জানা গিয়েছে, কুড়ি থেকে বাইশটি পুজো অংশগ্রহণ করবে এখানে। বারুইপুর, জয়নগর, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর এলাকার পুজো কমিটিগুলি অংশগ্রহণ করবে কার্নিভালে। কার্নিভালের শোভাযাত্রায় এক হাজারের মতো মানুষ নাচ, গান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবে। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। যে দর্শনার্থীরা আসবেন তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
দুর্গাপুরেও আয়োজিত হচ্ছে কার্নিভাল। দুর্গাপুর শহরের ১৫টি সেরা পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। রাজীব গান্ধী ময়দান থেকে শুরু হয়ে কার্নিভাল শেষ হবে গান্ধী মোড় ময়দানে। প্রিয়দর্শিনি ইন্দিরা সরণিতে মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সামনে মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।