পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

ভোররাতে দ্বারকেশ্বরে স্নান করেন দেবী, এই শ্মশানকালীর হাড়হিম করা কাহিনি জানেন?

November 1, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরামবাগের পাঁড়েরঘাট শ্মশানকালী নিয়ে জনশ্রুতির শেষ নেই। লোকমুখে শোনা যায়, মন্দিরের পাশেই দ্বারকেশ্বর নদে মুক্তকেশে দেবী কালী ভোররাতে নিত্যদিন স্নান করতে যান। স্নানের পর ঘাটের জল কৃষ্ণ বর্ণ থেকে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। কার্তিক অমাবস্যায় দেবীর সঙ্গীদের মাটির পাত্রে শিবাভোগ অর্থাৎ পোড়া শোল মাছ দেওয়া হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্ৰত।

১৩৬ বছর ধরে এই কালীর পুজো হয়ে আসছে। দেবীর পুজো হয় সারাবছর ধরে। কথিত আছে, একদা কালী সাধক করুণা হাঁড়ি ত্রিশূল হাতে গ্ৰামে গ্ৰামে মায়ের পুজোর উপাচার সংগ্ৰহ করতেন। উপাচার দিয়ে শ্মশানভূমিতে মায়ের পুজো হত। পুজো পেয়ে দেবী সন্তুষ্ট হন। সাধক করুণাকে দেবী কালী দ্বারকেশ্বর নদের পাশে শ্মশানভূমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নাদেশ দেন। টিনের ছাউনি দেওয়া আটচালায় পুজো শুরু হয়। পরবর্তীতে পাকা মন্দির তৈরি করা হয়। 

মন্দিরে দেবী দক্ষিণাকালিকা রূপে পূজিত হন। কালীপুজোর আগের দিন মাকে সোনার অলঙ্কার পরানো হয়। অমাবস্যায় মায়ের পুজো শুরু হয়। মহানিশিতে পোড়া শোলমাছ মাটির পাত্রে নিবেদন করা হয়। পুজোয় ছাগবলি দেওয়া হয়। আখবলি, ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে। নানান জায়গা থেকে মানুষ পুজো দিতে আসেন মন্দিরে। ভক্তদের বিশ্বাস, মানত করলে মনস্কামনা পূরণ হয়। একবছর পর মৃন্ময়ী প্রতিমা বিসর্জন হয়।

শতাব্দী প্রাচীন এই কালী পুজো ঘিরে দেবীর নানান মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে। ভক্তিদের বিশ্বাস দেবী সব অমঙ্গল থেকে মানুষকে রক্ষা করেন। মন্দির চত্বর নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মূল মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণভাবে এখানে মায়ের আরাধনা হয়। প্রথা মেনেই দেবীর পুজো হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#arambag, #Sasan Kali, #Panderghat Sasan Kali

আরো দেখুন