রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোমবাতির চাহিদা বেড়েছে, হাসি ফুটেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মুখে

November 3, 2023 | 2 min read

হাসি ফুটেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মুখে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কালীপুজো বা দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। এবার আর কোনও বাজি নয়। এক্ষেত্রে মোমবাতি বা প্রদীপ তো রয়েছেই। মোমবাতি শিল্প এ বছর বাজার জমাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মোমবাতি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ হওয়ার পরে অনেকে মোমবাতি কিনতে জোর দিচ্ছেন। আলোর উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে বাজারে নানা রংয়ের বৈদ্যুতিক আলোর পাশাপাশি সমানতালে বিক্রি হচ্ছে রং-বেরঙের মোমবাতি।

এই মোমবাতি তৈরি করেই এখন সংসার চালান বাগনান মহিলা বিকাশের উৎপাদক দল চেতনা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১ জন মহিলা সদস্য। সারা বছর এই সব সদস্যরা ডিটারজেন্ট, ফিনাইল, ধূপকাঠি, সাবান, মোমবাতি সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করলেও কালীপুজোর আগে তাঁরা মোমবাতি তৈরির উপরই জোর দেন। এই সময়টায় দিনরাত এক করে মোমবাতি তৈরি করেন তাঁরা। বাগনানের বাঙালপুরের বাসিন্দা তৃষ্ণা বারুই, সরস্বতী মণ্ডল, জোৎস্না দে, মধুমিতা মণ্ডল, মহামায়া রায়রা আগে নিজেরাই বিছিন্নভাবে মোমবাতি বানাতেন। মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাঁরা দাশনগর ও টিকিয়াপাড়া থেকে মোমবাতির ছাঁচ এবং বড়বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে এনে বাড়িতে বসেই মোমবাতি তৈরি করতেন। পরে সেইসব মোমবাতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করতেন। সেক্ষেত্রে লাভ হতো সামান্যই। যদিও পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত উপার্জনের আশায় তাঁরা বাগনান মহিলা বিকাশের উৎপাদক দল চেতনা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ দেন। তারপর থেকে গত সাত বছর ধরে এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মোমবাতি তৈরির পাশাপাশি বিক্রিও করছেন এই মহিলারা।

তাঁদের মতে, আগে শুধু কালীপুজোর সময় মোমবাতির চাহিদা থাকত। বর্তমানে সারা বছরই অল্পবিস্তর মোমবাতির চাহিদা থাকায় বছরভর মোমবাতি তৈরি করতে হয়। তবে কালীপুজোর সময় কাজের চাপ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। তবে মোমবাতি তৈরির পর সংস্থার সদস্যদের আর বাজারে বা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রি করতে হয় না। তাদের উৎপাদিত পণ্য বাগনান মহিলা বিকাশের কনজিউমার কো-অপারেটিভই বিক্রি করে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেখান থেকে মোমবাতি কিনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#candle, #self help group

আরো দেখুন