বিশ্বভারতী এবং প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মধ্যে শুরু পত্রযুদ্ধ! কারণ কী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বভারতী এবং প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মধ্যে শুরু হল পত্রযুদ্ধ। উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতা খালি করার পরামর্শ দিতেই অগ্নিশর্মা বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আইনের ক্ষমতা দেখাচ্ছেন তিনি। বিশ্বভারতীর সঙ্গে চরম সঙ্ঘাতে জড়াতেও পিছু পা নন তিনি। এখানেই তাঁর দ্বিচারিতা নিয়ে সওয়াল উঠছে। এতদিন তিনি নিজেই এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, আর এখন নিজেই উপাচার্যের বাসভবনে জাঁকিয়ে বসে আছেন।
বুধবার অর্থাৎ ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বাসভবন খালি করার পরামর্শ দিয়ে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক বিদ্যুৎবাবুকে চিঠি দিয়েছিলেন। সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, পূর্বিতা ছাড়েননি বিদ্যুৎবাবু। উল্টে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছেন, কোন আইনের বলে পূর্বিতা ছাড়তে বলার জন্য তাঁকে বাধ্য করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম ও বিশ্বভারতীর সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য হিসেবে মেয়াদকালে বিদ্যুৎবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির দখলদারীদের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। প্রাক্তনী, আশ্রমিকদের জমি হাঙ্গর, দখলকারী বলে অভিযোগ করতেন তিনি। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকেও জমি হরফকারী বলে আক্রমণ করেছেন বিদ্যুৎবাবু। অথচ তিনি নিজে গত ৮ নভেম্বর উপাচার্য পদ থেকে অবসর নিলেও, অদ্যবধি পূর্বিতা জবরদখল করে রেখেছেন। অভিযোগ করছেন, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফার।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি অবসরের পর জিনিসপত্র গোছানোর জন্য একমাস বাড়তি সময় পান। এর জন্য ভাড়াও গুনতে হয়। তবে সংশ্লিষ্ট ভবনেই যে তাকে থাকতে হবে এমনটা কখনই নয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে তার জন্য গেস্ট হাউস বা অন্য কোয়ার্টারও বরাদ্দ করতে পারেন। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিদ্যুৎবাবুকে এই মর্মেই পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।