জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরুষরা শাড়ি, শাখা ও সিঁদুর পরে বরণ করেন, জানেন কোথায়?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মাথায় ঘোমটা, পরনে শাড়ি আর কপালে লাল টকটকে সিঁদুর৷ যে কোনও পুজোর উৎসবে এভাবেই বরণডালা হাতে হাজির হন মহিলারা৷ সেই দৃশ্য দেখেই অভ্যস্থ আট থেকে আশি, সকলে৷ কিন্তু এ আবার কেমনতর বরণ, যেখানে পুরুষদের হাতেই দেবীর সে কাজ হয়৷ তাও আবার আজ থেকে নয়, দীর্ঘ ২৩০ বছর ধরে এই প্রথাই চলে আসছে ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা জগদ্ধাত্রী বারোয়ারি কমিটির পুজোয়।
কথিত আছে, একসময় ভদ্রেশ্বরের এই পুজো ছিল শূর পরিবারের। পরিবারের পূর্ব পুরুষ দাতারাম শূরের পরবর্তী প্রজন্ম এই পুজোর ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলেন না। তখন থেকেই বারোয়ারি রূপ নেয় এই পুজো। বাড়ির পুজোয় দশমীর দিন মহিলারা দেবীবরণ করতেন। কিন্তু বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বারোয়ারি পুজোর প্রাঙ্গনে গিয়ে দেবীবরণের কথা সে সময় ভাবতেই পারতেন না মহিলারা। কিন্তু এতদিনের বরণপ্রথা! সে কি বন্ধ হয়ে যাবে? তখনই এগিয়ে আসেন পুরুষরা। মহিলাদের মত শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দেবীকে বরণ করা শুরু করলেন এলাকার পুরুষরা। সেই থেকে আজও এই প্রথা আজও চলে আসছে।
লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের কাপড়পট্টি জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির পুজো ২৫৮ বছরে পা দিয়েছে। এখানে ঠাকুরের অঙ্গসজ্জায় থাকে ১০০ ভরি সোনার গয়না। প্রত্যেক বছর বহু ভক্ত মানত পূরণ হওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না, বেনারসি উপহার দেন। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে মহাভোগ পেতে হাজার কয়েক মানুষের সমাগম হয়। পুজোর কাপড় ও ফল দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার রীতি। পুজোর কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোগ লক্ষ লক্ষ ভক্তদের বিতরণ করি আমরা। খিচুড়ি, পোলাও, পায়েস ও নানা ব্যঞ্জন থাকে। বিসজর্নের পর তিনখানি বেনারসি জলে ভেসে ওঠে। তা সংগ্রহ করে ফের মাঝ গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়।’
লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের কাপড়পট্টি জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির পুজো ২৫৮ বছরে পা দিয়েছে। এখানে ঠাকুরের অঙ্গসজ্জায় থাকে ১০০ ভরি সোনার গয়না। প্রত্যেক বছর বহু ভক্ত মানত পূরণ হওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না, বেনারসি উপহার দেন। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে মহাভোগ পেতে হাজার কয়েক মানুষের সমাগম হয়। পুজোর কাপড় ও ফল দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার রীতি। পুজোর কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোগ লক্ষ লক্ষ ভক্তদের বিতরণ করি আমরা। খিচুড়ি, পোলাও, পায়েস ও নানা ব্যঞ্জন থাকে। বিসজর্নের পর তিনখানি বেনারসি জলে ভেসে ওঠে। তা সংগ্রহ করে ফের মাঝ গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়।’