উত্তরবঙ্গে প্রথম রোগ-গবেষণা কেন্দ্র, মেডিক্যালে নয়া ইউনিট
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) অধীনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মডেল রুরাল হেল্থ রিসার্চ ইউনিটের কাজ শুরু হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস-এর (নাইসেড) মাধ্যমে ওই কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জনাচারেক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এই সেন্টারে। সম্প্রতি তাঁরা কাজও শুরু করেছেন।
একটা সময় ছিল উত্তরবঙ্গে ম্যালেরিয়া আর কলেরা এই দুই রোগের সঙ্গে কার্যত ঘর করতে হত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। এরপর ক্রমে ডেঙ্গু, অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমের মতো রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। এইএসে প্রচুর রোগীর মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে কয়েক বছর অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমে কয়েকশো মানুষ মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ করতে সে সময় এমস, নাইসেড থেকে টিম আনতে হয়েছিল। সে কারণে উত্তরবঙ্গে এ ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দাবি ওঠে দীর্ঘদিন ধরেই। এর আগে নাইসেড কেন্দ্র গড়তে জায়গা চেয়েছিল। কিন্তু পরে, তা হয়নি। এত দিনে সেই কাজ হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
মূলত উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় রোগ সংক্রান্ত গবেষণা করবে এই ইউনিট। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উত্তরবঙ্গে মাঝেমধ্য়ে অজানা জ্বরের প্রকোপও দেখা যায়। কিন্তু এই জ্বর কেন হয়, এই ধরনের জ্বরের পেছনে মশার কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না সেটাও অনেক সময় বোঝা যায় না। আবার ফাঁসিদেওয়ার কাছে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে অতীতে। তবে এবার রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত এই ধরনের ইউনিট উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণায় তথা এই কেন্দ্র চালাতে ১৫ সদস্যের লোকাল রিসার্চ অ্যাডভাইসরি কমিটি তৈরি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞেরা রয়েছেন, নোডাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, নোডাল অফিসার, লিঙ্কড মেডিক্যাল কলেজ তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব হেল্থ রিসার্চের (ডিআইচআর) প্রতিনিধিরা রয়েছেন।