ভোটার দিবসে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও পুরুলিয়া-তিন জেলাশাসক কেন পাচ্ছেন পুরস্কার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে কলকাতার আলিপুরে ভাষাভবন প্রেক্ষাগৃহে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও পুরুলিয়া, তিন জেলার জেলাশাসকদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। ভুয়ো ভোটারদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ হচ্ছে, ইভিএম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করে তোলা এবং ভোটারদেরকে বুথমুখী করতে সচেতনতার প্রচার; এই তিন ক্যাটাগরিতে রাজ্যের ২৩ জেলার মধ্যে ‘স্টেট অ্যাওয়ার্ডস ফর বেস্ট ইলেক্টোরাল’ শিরোপায় পুরস্কারগুলো দেওয়া হবে।
ইলেক্টোরাল রোল ক্লিনসিনিং অর্থাৎ ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার কাজে পুরস্কার পাবেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক শরদকুমার দ্বিবেদী। ওভারঅল পারফরমেন্স ইন ইলেক্টোরাল রোল ম্যানেজমেন্টের জন্য হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য পুরস্কৃত হবেন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা পুরস্কৃত হচ্ছেন ‘ইনোভেটিভ ক্যাম্পেনস অ্যান্ড সিস্টেমেটিক ভোটারস এডুকেশন এন্ড ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন’-র জন্য।
ভোটদানের সচেতনতা বাড়াতে হুগলি জেলার ম্যাসকট ‘পলাশমণি’ প্রচার চালাবে। পলাশমণি যে ঘরের মেয়ে। টুসুকে যেমন ‘টুসুমণি’ বলা হয়, তেমন ‘পলাশমণি’র মধ্যে ভালোবাসা, আদরের পরশ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও প্রশংসিত হয়েছে এই ম্যাসকট। ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গত বছরের ১২ আগস্ট থেকে প্রচার শুরু করে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। কন্যাশ্রীদের নিয়ে সাইকেল র্যালি করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আহ্বান জানানো হয়। জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার, সকলেই সাইকেল মিছিলে সামিল হয়েছিলেন।
ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে নিরন্তর চালাতে ও ভোটারদের বুথমুখী করতে পদক্ষেপ কারণে পুরুলিয়া পুরস্কার পাচ্ছেন। মদ, টাকা নয় পলাশমণির হাত ধরে জেলার ভোটাররা যাতে বুথমুখী হতে পারেন, তার প্রচার শুরু করবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। কন্যাশ্রী ‘পলাশমণি’ পুরুলিয়ার সাজে পলাশ ফুলে সেজে উঠেছে। তার মুখ ছৌ নৃত্যের মুখোশের আদলে। আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসে পুরুলিয়ায় সাইকেল র্যালি, ট্যাবলো, নাটকে ‘পলাশমণি’ বার্তা দেবে। ভোটারকে বুথমুখী করতে ‘পলাশমণি’ ধারাবাহিক প্রচার চালাবে লোকসভা ভোটের আগের দিন অবধি।