পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

পুরুলিয়ার গড় পঞ্চকোটের পঞ্চরত্ন মন্দির এখন ইতিহাসের নীরব সাক্ষ্য

February 1, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: মধুরিমা রায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুরুলিয়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চকোটের রাজাদের দ্বারা নির্মিত কয়েকটি দুর্গের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বাংলার পশ্চিমে গড়পঞ্চকোটে। পুরুলিয়া জেলার পঞ্চকোটের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, পঞ্চকোট প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখন ইতিহাসের একটি নীরব সাক্ষ্য।

ছবি সৌজন্যে: মধুরিমা রায়

১৮ শতকের বর্গি আক্রমণের জন্য এই বিচ্ছিন্ন, শান্ত এবং নির্মল উপত্যকাটি প্রকৃতির আশ্চর্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি গড়পঞ্চকোট একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যেরও প্রমাণ।

ছবি সৌজন্যে: মধুরিমা রায়

পরিত্যক্ত পঞ্চকোট দুর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন আর্মেনীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ যোশেফ ডেভিড বেগলার ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিবরণীর অষ্টম খণ্ডে যা ১৮৭২-৭৩ নাগাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ইটের তৈরী এবং প্রশস্ত পরিখায় বেষ্টিত দুর্গটির মোট আয়তন ছিল বারো বর্গমাইল। পরিখাটি বেশিরভাগ সময়ই জলপূর্ণ থাকত পাহাড়ে সৃষ্টি জলধারা দ্বারা। দুর্গের বিভিন্ন স্থানে টেরাকোটার ভাস্কার্য সহ অন্যা্ন্য কারুকার্য়ের কথা জানা জানা যায়। মূল দুর্গের দেওয়াল ছিল পাথর দিয়ে তৈরি।

ছবি সৌজন্যে: মধুরিমা রায়

গড় পঞ্চকোট-র সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির হলো পঞ্চরত্ন টেরাকোটা নির্মিত দক্ষিণ ও পূর্ব দুয়ারী রাস মন্দির। মন্দিরের গায়ে রয়েছে নানান রকমের নকশা। মন্দিরের গায়ে রয়েছে ফুল আলপনার নকশা করতাল বাদন রত নৃত্যরত মানব-মানবীর ছবি। মন্দিরের উপরে ৬০ ফুট উঁচু চূড়াটি প্রায় ভগ্নপ্রায় মন্দিরের ভেতরে কোন বিগ্রহ নেই। এই অঞ্চলে গড়ের পশ্চিম প্রান্তে কংকালী মায়ের একটি মন্দির আছে। যদিও সে মন্দিরটির ধ্বংসপ্রায়। মন্দিরের সামনের অংশ অক্ষত হলেও পিছনের অংশটি একেবারে ভেঙে পড়েছে। কংকালী মা পঞ্চকোট রাজ্যের কোন দেবী হলেও বর্তমানে মন্দিরে মন্দিরে প্রবেশ পথের উপরে কোন লিপি ছিল।

ছবি সৌজন্যে: মধুরিমা রায়

গড়ের বাঁদিকে প্রস্তর নির্মিত কল্যানেশ্বরী দেবীর মন্দির রয়েছে। তাছাড়াও দুইটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত জোড়া মন্দির এখানে রয়েছে। পঞ্চকোট পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#gor panchakot, #pancha ratna mandir, #Purulia

আরো দেখুন