দেশ বিভাগে ফিরে যান

অমৃতকালে কেমন আছেন রেলওয়ে হকাররা?

February 12, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে কেমন আছেন রেলওয়ে হকাররা? স্টেশনের চা বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছেন মোদী; হকারি করে দিন গুজরান করা অনেকেই ভেবেছিলেন হকারদের দিন ফিরবে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারেই উল্টো। অমৃতকালের ঠেলায় স্টেশনে ব্যবসা করাই দায় হকারদের। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মধ্য রেলে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের অ্যান্টি-হকার স্কোয়াড ২১,৭৪৯টি কেস দায়ের করেছেন। প্রায় ২১,৭৩৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রায় তিন কোটি টাকার ফাইন আদায় করা হয়েছে।

পূর্ব রেলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠছে। স্টল ও স্টলের জিনিসপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ আনছেন হকাররা। ন্যাশনল হকার ফেডারেশনের মতে, দেশে এখন হকারের সংখ্যা প্রায় ৭৭ লক্ষ।

২০২৩ সালে মোদী সরকার অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প শুরু করে, যদিও হকাররা একে মোদী সরকারের হকার বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই মনে করে। রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের নামে হকারদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। হকাররা বলছেন, ব্যবসার সময় আরপিএফ নানান ভুয়ো অভিযোগে কেস দিচ্ছে। জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিত্যযাত্রীরাও প্রতিবাদে নামছেন আরপিএফের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে।

হকারদের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে বঙ্গীয় হকার সম্মেলন নামের একটি বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠন। তাদের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাসের মতে, মোদী সরকার যখন কর্মসংস্থান জোগাতে ব্যর্থ, তখন স্টেশন ও রেলওয়ে হকারদের ব্যবসাকে আইনত বৈধ করা জরুরি। কারণ, এদেশের বহু ব্যবসার চালিকা শক্তি হলেন এই হকাররা। তাঁরা স্বল্প লাভে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার কাছে পৌঁছে যায়। হকারি দেশের অন্যতম প্রাচীন পেশা। সংবিধান অধিকার দিয়েছে, দেশের প্রতিটি নাগরিক ব্যবসা করতে পারে। কিন্তু মোদী সরকার হকারদের মুছে দিতে চায়। এয়ারপোর্টের মতো স্টেশন থেকেও তাঁদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। বদলে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হবে স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব। এক কাপ চায়ের এমন দাম হবে, যা সাধারণের সাধ্যাতীত। এমনই আশঙ্কা ঘনিভূত হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Indian Railway, #hawkers, #modi govt

আরো দেখুন