প্রয়াত গজল গায়ক পঙ্কজ উদাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৭২ বছর। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। টুইটারে পোস্ট করে তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়েছেন শিল্পীর মেয়ে নায়াব উধাস। তিনি বলেন, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাস ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন।’ তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে।
হিন্দি সিনেমা এবং ইন্ডি-পপের জগতে পঙ্কজ উদাসের অবদান ভোলার নয়। লাইভ অনুষ্ঠান হোক বা অ্যালবাম কিংবা ছবির গান, আশি ও নব্বইয়ের দশকে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া এই সব গজল আজও ভুলতে পারেনি শ্রোতা-দর্শকরা। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো জনপ্রিয় অ্যালবাম রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। জগজিৎ সিং-কে বলা হয়, গজল সম্রাট। আর সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে ‘গজল কিং’ পঙ্কজ উদাস।
রাজকোটের কাছে অবস্থিত চারখাদি নামের এক ছোট্ট শহরে ১৯৫১ সালের ২৭শে মে জন্ম পঙ্কজ উদাসের। জমিদার পরিবারের ছেলে তিনি। বাবা, কেশুভাই উদাস সরকারি চাকরিজীবী হলেও দিলরুবা বাজাতেন। ছোট থেকেই সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা তাঁর। ছেলেকে রাজকোটের সঙ্গীত অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করান পঙ্কজ উদাসের বাবা। শুরুতে তবলার তালিম নিলেও পরবর্তীত গুলাম কাদির খান সাহেবের কাছে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। পরে মুম্বইয়ে এসে গোয়ালিয়ার ঘরনার শিল্পী নবরঙ্গ নাগপুরকরের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন।
১৯৮০ সালে প্রকাশিত ‘আহত’ ছিল তাঁর ডেবিউ গজল অ্যালবাম। পরের বছর মুক্তি পায় মুকারার, ১৯৮২ সালে তারান্নুম, ১৯৮৩ সালে মেহফিল… একের পর এক হিট অ্যালবাম আশির দশকে উপহার দিয়েছেন তিনি। নাম ছবিতে ‘চিঠটি আয়ি হ্যায়’ গেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পঙ্কজ উদাস। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে।