রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অধিকারীদের বাঁচিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ? বর্তমান তমলুকের প্রার্থীর পুরোনো রায় খারিজ হাইকোর্টে

April 30, 2024 | 3 min read

অধিকারীদের বাঁচিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরোল কেউটে? এবার হাইকোর্টের প্রকট বিচারপতি এবং বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে দিল খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের পরই ‘বিচারপতি’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যোগসূত্র তত্ত্ব নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলছেন, বেছে বেছে যেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন, সেদিনই এই মামলা ফেলা হয়েছিল। ফলে ‘বিচারপতি’ ও রাজনৈতিক দলের(বিজেপি) যোগসূত্র যে অনেক আগে থেকেই ছিল, তা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, কাঁথি পুরসভা এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে প্রচুর টাকা নয়ছয় হয়। এই দুর্নীতিতে শিশির অধিকারীর বড় ছেলে, শুভেন্দুর দাদা, কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নাম জড়ায়। সেই সুবাদেই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ১৬০ নম্বর ধারায় নোটিস পাঠিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে বলেন এগরার এসডিপিও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণেন্দু। অভিযোগ, সেই মামলায় রাজ্যকে কোনও বক্তব্য পেশের সুযোগ বা হলফনামা দাখিলার সুযোগ না দিয়েই একপেশে রায় দেন অভিজিৎ। ১৬০ নম্বর ধারায় জারি করা ওই নোটিস খারিজের পাশাপাশি ওই এসডিপিও’র বিরুদ্ধে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।

সোমবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চ এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে আইনের পথ অনুসরণ করেননি। তাই ওই নির্দেশ খারিজ করে ফের মামলাটি অন্য সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে রাজ্যের তরফে মামলায় সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সিঙ্গল বেঞ্চে রাজ্যের অনেক কিছু বলার থাকলেও, তা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকী হলফনামা দিতে চাইলে, তাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। রাজ্যের এই যুক্তি শুনেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও এসডিপিওকে নিজের পকেট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাও খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এহেন নির্দেশের পরই ‘বিচারপতি’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যোগসূত্র তত্ত্ব নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে। ওয়াকিবহাল মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে বেছে বেছে যেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন, সেদিনই এই মামলা ফেলা হয়েছিল। ফলে ‘বিচারপতি’ ও রাজনৈতিক দলের(বিজেপি) যোগসূত্র যে অনেক আগে থেকেই ছিল, তা নাকি এবার ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছ, অধিকারীদের তোষামোদের কারণেই কী বিচারপতি পদ ছাড়ার পর তমলুক আসনে টিকিট পেয়েছেন অভিজিৎ? বলা হচ্ছে যে বিচারপতি পদে থেকেই অভিজিৎ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন।অধিকারীদের বাঁচিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ? বর্তমান তমলুকের প্রার্থীর পুরোনো রায় খারিজ হাইকোর্টে

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরোল কেউটে? এবার হাইকোর্টের প্রকট বিচারপতি এবং বর্তমানে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে দিল খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের পরই ‘বিচারপতি’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যোগসূত্র তত্ত্ব নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলছেন, বেছে বেছে যেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন, সেদিনই এই মামলা ফেলা হয়েছিল। ফলে ‘বিচারপতি’ ও রাজনৈতিক দলের(বিজেপি) যোগসূত্র যে অনেক আগে থেকেই ছিল, তা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, কাঁথি পুরসভা এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে প্রচুর টাকা নয়ছয় হয়। এই দুর্নীতিতে শিশির অধিকারীর বড় ছেলে, শুভেন্দুর দাদা, কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নাম জড়ায়। সেই সুবাদেই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে ১৬০ নম্বর ধারায় নোটিস পাঠিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে বলেন এগরার এসডিপিও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কৃষ্ণেন্দু। অভিযোগ, সেই মামলায় রাজ্যকে কোনও বক্তব্য পেশের সুযোগ বা হলফনামা দাখিলার সুযোগ না দিয়েই একপেশে রায় দেন অভিজিৎ। ১৬০ নম্বর ধারায় জারি করা ওই নোটিস খারিজের পাশাপাশি ওই এসডিপিও’র বিরুদ্ধে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।

সোমবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চ এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে আইনের পথ অনুসরণ করেননি। তাই ওই নির্দেশ খারিজ করে ফের মামলাটি অন্য সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে রাজ্যের তরফে মামলায় সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সিঙ্গল বেঞ্চে রাজ্যের অনেক কিছু বলার থাকলেও, তা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকী হলফনামা দিতে চাইলে, তাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। রাজ্যের এই যুক্তি শুনেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও এসডিপিওকে নিজের পকেট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাও খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এহেন নির্দেশের পরই ‘বিচারপতি’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির যোগসূত্র তত্ত্ব নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহলে। ওয়াকিবহাল মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে বেছে বেছে যেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন, সেদিনই এই মামলা ফেলা হয়েছিল। ফলে ‘বিচারপতি’ ও রাজনৈতিক দলের(বিজেপি) যোগসূত্র যে অনেক আগে থেকেই ছিল, তা নাকি এবার ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছ, অধিকারীদের তোষামোদের কারণেই কী বিচারপতি পদ ছাড়ার পর তমলুক আসনে টিকিট পেয়েছেন অভিজিৎ? বলা হচ্ছে যে বিচারপতি পদে থেকেই অভিজিৎ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Abhijit ganguly, #krishnendu adhikari, #Kolkata High Court, #calcutta high court

আরো দেখুন