শেষ দফার আগে বঙ্গে অতিসক্রিয় এজেন্সি! তলব তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সপ্তম তথা শেষ দফার আগেই আসরে নামল এজেন্সি, মরণকামড় দিতে বিজেপি অতিসক্রিয় করে তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের, এমনই অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবারই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল!
বেছে বেছে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের একদিনের নোটিশে তলব করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এসেছে। এজেন্সির সম্ভাব্য তলব নিয়ে অভিষেক প্রচার সভায় সতর্ক করেছিলেন কর্মীদের। মধ্যরাত থেকে বেছে বেছে কলকাতা এবং যাদবপুর, বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ভোট ম্যানেজারদের হাজিরার নোটিশ পাঠাতে শুরু করে সিবিআই।
সন্দেশখালির নেতারা জানেনই না, কেন তাঁদের ডাকা হল। শেষ লগ্নের প্রচার চলাকালীন দলের ভোট ম্যানেজারদের তলবে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারপর্বে তিনি বারবার সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, মোদীবাবু কিন্তু থাকবেন না। ভোটের আগে এসব করা যায় না!’
রাজ্যের শাসকদলের ভোট কুশীলব, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাঙড়ের নেতা সওকত মোল্লা, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তরুণ তুর্কি দেবরাজ চক্রবর্তী, বসিরহাটের অন্তর্গত সন্দেশখালি বিধানসভার কেন্দ্রের প্রথম সারির দিলীপ মল্লিক, কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস, গৌর রায়-সহ ছ’জনকে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সওকত মোল্লা-সহ বাকিরা। ৪ জুন ভোটের ফলের পর তাঁরা সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন।
জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার মামলায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব করা হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন নীরব ছিল তদন্তকরী সংস্থা। শেষ দফার ভোটের আগেই কেন ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠল তারা, উঠছে সে প্রশ্ন। বারুইপুরের নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বলেন, “দু’মাস ধরে বিজেপি লাগাতার নোংরামো করছে। সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তরের সঙ্গে লড়াই করছি। সওকত খুব ভালো দলের কাজ করে। দিল দিয়ে কাজ করে। বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করে। তাই ওঁকে টার্গেট করেছে। রাতে নোটিশ পাঠিয়ে বলছে, সকালে দেখা কর! এসব হচ্ছেটা কী!’