রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পদ্মে ববি কাঁটা! শোকজের জবাবে বঙ্গ BJP-কে তোপ ডায়মন্ড হারবারের পরাজিত গেরুয়া প্রার্থীর

June 27, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কিছুতেই আর ডায়মন্ড হারবার অস্বস্তি কাটাতে পারছে না বিজেপি। ডায়মন্ড হারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করেছিল বিজেপি। জবাবে বঙ্গ বিজেপি বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন ববি।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর পাঠানো প্রতিনিধিদলকে বিক্ষোভ দেখানোয় ইন্ধনের অভিযোগে গত ১৮ জুন অভিজিৎকে শোকজের চিঠি দেয় বিজেপি। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। জবাবি চিঠি সল্টলেকের দপ্তরে গিয়ে মঙ্গলবার জমা দেন ববি। জানা গিয়েছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। গেরুয়া পার্টির সাংগঠনিক সংবিধানের কয়েকটি ধারার উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে শোকজ করার পদ্ধতিটি শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। রাজ্য শাখার নেতাদের এমন চিঠি দেওয়ার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী।

নির্বাচন পর্ব থেকেই ববি অভিযোগ করছিলেন, ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সর্দার তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। জেলার গেরুয়রা নেতাদের একাংশের সঙ্গে তলে তলে তৃণমূলের যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠছিল। রাজ্য নেতৃত্বকে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও তারা আমল দেয়নি বলে দাবি অভিজিতের।

নির্বাচন উত্তর হিংসার অনুসন্ধান করতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সত্যানুসন্ধানী দল ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছয়। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ, অভিজিতের বাড়িতে আশ্রিত ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রীয় দলকে তাঁদের আশ্রয়স্থলে নিয়ে যেতে পারেননি ঘরছাড়ারা। এরপর স্থানীয় বিজেপি অফিসে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। দলীয় কোন্দলে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য বিজেপি। তড়িঘড়ি অভিজিৎকে শোকজ করা হয়। সাত দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শোকজ চিঠি অভিজিতের হাতে পৌঁছনোর আগেই ঘুরতে থাকে সংবাদমাধ্যমে। বিজেপির সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার কথা বলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলেন অভিজিৎ। দলের কোনও মতপার্থক্য ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা বা সংবাদপত্র বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রচার করা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবে উল্লেখ করা রয়েছে সেই ধারায়। অভিজিৎ প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি চিঠি পাওয়ার আগেই কে বা কারা দলের গোপন চিঠি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন? জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কেন রাজ্য নেতৃত্ব পদক্ষেপ করেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অভিজিৎ।

তাঁকে শোকজের চিঠি দেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্য দলের রয়েছে কি না, তা নিয়েও সওয়াল করছেন তিনি। অভিজিতের দাবি করেছেন, বিজেপির সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘বি’ ধারা লঙ্ঘিত রয়েছে। তাতে বলা রয়েছে, দলের জাতীয় পরিষদের কোনও সদস্যকে রাজ্যের তরফে শোকজ করা যায় না। কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করা যায় না। অভিজিৎ বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্য। অভিজিৎকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#politics, #Abhijit Das Bobby, #West Bengal, #bjp

আরো দেখুন