GI তকমা পাওয়ার জন্য আরও এক ধাপ এগোল বাংলার নলেন গুড়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর নলেন গুড়ের জন্য বাঙালি সারা বছর ধরে মুখিয়ে থাকে। রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েস, পিঠেপুলি নিয়ে জমে যায় গোটা শীত। সোনালি রঙের পাতলা গুড়, আহা তার যা স্বাদ আর গন্ধ! এর জন্য শহিদ পর্যন্ত হতেও পারে বাঙালি। একে বাঙালি শীতকাতুরে, তার মধ্যে এরকম দারুণ সুস্বাদু একটা জিনিস! ভাবাই যায় না।
এবার শীতের মরশুম শুরু হওয়ার মূহূর্তেই বাংলার জন্য সুখবর। বিশ্ব দরবারে এবার স্থান পাওয়ার অপেক্ষায় বাংলার প্রিয় নলেন গুড়। জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই তকমা পাওয়া জন্য এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে শীতের সুস্বাদু এই খাদ্যবস্তু। নলেন গুড়ের জিআই তকমা পাওয়ার বিষয়ে যাবতীয় নথিপত্র কলকাতায় বসে খতিয়ে দেখলেন দিল্লির প্রশাসনিক কর্তারা। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের আশা, নলেন গুড়ের জিআই তকমা মিলবেই।
নদিয়ার মাজদিয়া সুপরিচিত খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি নলেন গুড়ের জন্য। এখানকার গুড়ের সুনাম সর্বজনবিদিত। শীতের মরশুমে প্রত্যেকের ঘরে নলেন গুড় খাবারের তালিকায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী হিসেবে স্থান করে নেয়। তাছাড়া বাংলার এই গুড়ের ইতিহাসও প্রাচীন। খেজুর গাছের রস সংগ্রহ থেকে গুড় তৈরি, তা বাজারজাত করা এবং সাধারণের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজে বিরাট সংখ্যক কর্মসংস্থান হয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, খেজুর চাষের উপর ইদানীং চাষিরা জোর দিয়েছেন। চাষ করে আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছেন। এসব দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে বাংলার নলেন গুড়ের জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবেদন করে রাজ্য। প্রয়োজনীয় নথি সামগ্রী জমা দেয়। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রের তরফে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস রেজিস্ট্রি মন্ত্রকের প্রশাসনিক কর্তারা কলকাতায় আসেন। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়াও দিল্লি থেকে কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন। সবদিক বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কয়েকটি পরীক্ষামূলক কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন।