শপথের দিন ঘোষিত! মুখ্যমন্ত্রীর গদি কার, শিন্দেকে ঘিরে কোন নয়া সমীকরণ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী থাকবেন। যাবতীয় বন্দোবস্ত সারা। মুখ্যমন্ত্রী কে? বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট। ফল প্রকাশের পর সপ্তাহ পেরিয়েছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারছে না বিজেপি। শপথগ্রহণের নির্ঘণ্ট অবশ্য শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী সোমবার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হবে। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। কেন এমন দশা? মহারাষ্ট্রে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির?
শরিক শিবসেনার গেরোয় বিজেপি কতটা চাপে? শরিক এনসিপির নেতা অজিত পাওয়ার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকেই। অন্য দুই শরিক দলকে দেওয়া হবে উপ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। দিল্লির বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের দিকেই সমর্থন রয়েছে অজিতের। শুধু উপ মুখ্যমন্ত্রী নয়, তিনি পাবেন অর্থ দপ্তরও। এমন জল্পনা চরমে। কিন্তু বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন একনাথ। গোঁসা করে শিবসেনা নেতা চলে গিয়েছেন সাতারায় গ্রামের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রী পদ ও দপ্তর বণ্টন নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। যদিও পরস্থিতি সামাল দিতে শিবসেনা নেতা তথা বিদায়ী মন্ত্রী বিজয় সামন্তের দাবি, শিন্দের শরীর ঠিক নেই। বৈঠক শীঘ্রই হবে। সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দেবেন তিনি।
২৮৮ বিধানসভার মহারাষ্ট্রে বিজেপি একাই ১৩২টি পেয়েছে। তার উপর অজিত পাওয়ারের সমর্থনও পাকা। ফলে শিন্দে না থাকলে গদি কি টলে যাবে? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হলেও উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দলের হাতে রাখতে চান শিন্দে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র-সহ হেভিওয়েট মন্ত্রকগুলো শিবসেনাকে ছাড়তে নারাজ বিজেপি। ইতিমধ্যেই হাওয়া উঠে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, লাডলি বহিন যোজনা শুরু করেছিলেন শিন্দে। তিনি সরকারে থাকুন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, শিন্দে ও অজিত পাওয়ারের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানেই মন্ত্রিত্ব ও দপ্তর বণ্টন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। শিবসেনার একটি সূত্র বলছে, বিদায়ী সরকারের নেতা থেকে নতুন সরকারের দু’নম্বর হতে চান না শিন্দে। পছন্দের দপ্তরগুলিতে শিবসেনার হাতে এনে তিনি মহাযুতি জোটের আহ্বায়ক পদে বসতে আগ্রহী। কার্যত ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বিশ বাঁও জলে। কোন্দল চাপা দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক না-করে শপথগ্রহণের দিন ঘোষণা করে দিল বিজেপি। কুর্সির ‘কুস্তি’ কি সামাল দিতে পারবে বিজেপি? জল্পনা বাড়ছে।