ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে মমতার অভিযোগকে কার্যত মান্যতা কমিশনের, কী জানানো হল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ভুতুড়ে ভোটার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। বাংলাতেও একই জিনিস করা হয়েছে বলে অভিযোগ শানান মুখ্যমন্ত্রী। দলের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এক যোগে বিজেপি ও কমিশনকে আক্রমণ করেন। ভুতুড়ে ভোটার তাড়াতে গড়ে দেন সাফাই কমিটি। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। রবিবার বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে একই এপিকে নম্বরে একাধিক নাম থাকার ঘটনার কথা স্বীকার করে নিল কমিশন।
একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকা মানে ভুয়ো ভোটার নয়। এপিক নম্বর এক হলেও ভোটকেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা হয়। আরও জানানো হয়েছে, এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একই এপিক নম্বরে অন্য রাজ্যের ভোটার রয়েছেন, সম্প্রতি এমন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আধার কার্ডের নম্বর প্রত্যেকের আলাদা। ভোটার কার্ডের ক্ষেত্রেও তেমন হওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। দেখা যাচ্ছে একই এপিক নম্বরের দুই বা তার বেশি ভোটার রয়েছেন। ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কমিশনের বক্তব্য, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আধারের মতো এপিক নম্বরও একটি হবে। কারও সঙ্গে কারও যাতে মিল না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।
ভোটার তালিকার ভূত তাড়াতে গোটা সংগঠনকে ময়দানে নামতে নির্দেশ দেন তৃণমূল। আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। মমতা বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো বাংলাতেও ফিল্ড সার্ভে না করে এআরও-র সাহায্যে অপারেটরদের কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ভূতুড়ে ভোটারদের নাম তোলা হচ্ছে। বাংলার ভোটারের একই এপিক কার্ডে হরিয়ানা, গুজরাতের লোকের নাম তুলছে। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে কোনও ভোটারের এপিক নম্বরে হরিয়ানার কারও নাম তোলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের গঙ্গারামপুরেও কারও এপিক নম্বরে নাম উঠেছে গুজরাতের লোকের।” দু’দিন যেতে না যেতেই এবার আসরে নামল কমিশন।