সাইবার প্রতারণায় লোপাট টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেউ চাকরির লোভনীয় সুযোগের আড়ালে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে, কেউ বা লগ্নি করতে গিয়ে ঠকেছেন। কেউ ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করতে গিয়েছিলেন গুগল থেকে নম্বর সংগ্রহ করে। কেউ ফোনেই ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করতে গিয়েছিলেন। কেউ টেলিগ্রাম গ্রুপে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ জব করতে গিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিয়েছে প্রতারকেরা। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেছে। এখনও ঘটে চলেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জন প্রতারিতের টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে বিধাননগরের পুলিশ। সব মিলিয়ে সেই অঙ্ক ২ কোটি ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৫৭৪। ওই টাকা যাঁদের, সোমবার থেকে তাঁদের তা ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু করল বিধাননগর কমিশনারেট।
হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালস থেকে অবসরপ্রাপ্ত সুভাষচন্দ্র সরকার সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। তিনি প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন। সুভাষচন্দ্রবাবু বলেন, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে আমার কাছে একটি ফোন এসেছিল। কেওয়াইসি আপডেট করতে বলে। আমি সত্যি ভেবে তথ্য শেয়ার করেছিলাম। তারপর আমার টাকা ডেবিট হয়ে যায়। সোমদত্তা রায় নামে এক তরুণী টেলিগ্রাম গ্রুপে ওয়ার্ক ফ্রম হোম জব করতে গিয়ে ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন। তিনি ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা ফিরে পেলেন। সোমদত্তাদেবী বলেন, আমি চাকরি খুঁজছিলাম। তারপর টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে জব করেও বুঝতে পারিনি। আজ টাকা ফিরে পেয়ে খুবই খুশি। অনেকে বলেন, পুলিস কাজ করে না। এটা যে ভুল, তা প্রমাণ হয়ে গেল।
চিকিৎসক হিমানীশ চৌধুরী ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করার জন্য গুগল থেকে নম্বর নিয়ে ফোন করেছিলেন। তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপরই তাঁর সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে যায়। তিনি প্রায় দু’লক্ষ টাকা ফেরত পেয়েছেন। হিমানীশবাবু বলেন, ফোনে বুঝতে পারিনি ওরা প্রতারক। তাই যখন অ্যাপ ডাইনলোড করার কথা বলেছিল তা করে নিয়েছিলাম। পরে দেখি টাকা ডেবিট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট লক করি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে অর্ক মিত্র নামে এক যুবক বলেন, আমার ১৮ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। এক লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি।