মুসলিমদেরও হিন্দু সম্পত্তি বোর্ডের সদস্য হতে দেওয়া হবে? ওয়াকফ মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি আজ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই সব মামলার শুনানি ছিল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাগুলি শুনছেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। ১৭ এপ্রিল, দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানি হবে। তবে ওয়াকফ আইন নিয়ে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ করে আদালত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি বিষয় খুবই উদ্বেগজনক আর তা হল হিংসা। সেই ইস্যুটিও আদালতের নজরে এসেছে এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছ জানতে চায়, আপনারা কি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মন্দির কমিটিতে মুসলিমদের অংশ নিতে দেবেন?
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এদিন তিনটি অন্তর্বর্তী নির্দেশের প্রসঙ্গ তোলেন। যার প্রথমটি হল, আদালত ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি অবিধিবদ্ধ বা ওয়াকফের নয় বলা যাবে না, তা সে ব্যবহারকারীর হোক বা না হোক। দ্বিতীয়টি হল, কালেক্টর বা জেলাশাসক ওয়াকফ নিয়ে বিবাদ নিষ্পত্তি করতে পারলেও সেটা এখনই হচ্ছে না। বোর্ড ও কাউন্সিল যাই হোক সেখানে এক্স অফিসিও সদস্য নিয়োগ করা গেলেও অন্য সদস্যদের মুসলিম হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমাদের সামনে তিনটি পথ। এক, আমরা পিটিশন শুনব। দুই, হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেব। তিন, হাই কোর্টে পড়ে থাকা পিটিশনও গ্রহণ করে আমরাই সিদ্ধান্ত নেব।’’