মুর্শিদাবাদে হাঙ্গামার নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশের কুখ্যাত জঙ্গিরা, বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ওয়াকফের আগুনে পুড়ছে রাজ্য। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-অশান্তি। সবথেকে খারাপ অবস্থা মুর্শিদাবাদে। ধুলিয়ান-সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হচ্ছে। ভাঙচুর, আগুন লাগানো হয়েছে সরকারি সম্পত্তিতে, এমনটাই অভিযোগ। সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরের চিত্র দেখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট একটি শক্তি অশান্তি সৃষ্টি করেছে। পুলিশের সঙ্গে একটা বড় অংশ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তারাই ভাঙচুর চালাচ্ছে। তবে এলাকাবাসীরা বলছেন, যারা সংঘর্ষে জড়াচ্ছে, তারা মূল মিছিলের অংশ নয়। ওয়াকফ বিরোধী মিছিল শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষ এই হিংসা ছড়িয়েছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছেন, বোমা ছুড়েছেন, লুটপাট করেছেন। তাদের আচরণ দেখে পেশাদার অপরাধীর দক্ষতায় হামলাকারীরা সিসিটিভি খুলে ফেলেছে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই বোমা হাতে মিছিলে বের হবেন না! সাধারণ মানুষের মনস্তত্বে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর বা বোমা ছোড়া থাকে না। এখানেই পেশাদার অপরাধীর তত্ত্ব উঠে আসছে। যে সব এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে, সেখানের বাসিন্দারাও এদের (হিংসায় জড়িত) চিনতে পারছেন না। একাধিক গ্রামবাসী বলছেন, এদের চেনেন না।
বাংলাদেশের ঢাকা সহ বিভিন্ন প্রান্তের জেল ভেঙে পালানো কুখ্যাত জঙ্গিদের একটা বড় অংশ এই হাঙ্গামার নেপথ্যে ছিল বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কমপক্ষে ২০ জঙ্গির ওই দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে সামশেরগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ানের হাঙ্গামার ‘নেতৃত্বে’ ছিল। কীভাবে তারা এপারে এল? স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দারা জেনেছেন, সূতি সীমান্ত দিয়ে এপারে এসেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) ওই ক্যাডাররা। বোরখা পরে সীমান্ত পার করানো হয় তাদের। এই দলে ‘রিপন’, ‘জুয়েল’, ‘এক্রামূল’, ‘মিজান’-এর মতো ওপারের কুখ্যাতরা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।